নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নদীয়া :: নদীয়ার ভীমপুর গোবরাপোতা মাছ বাজার এলাকায় বসবাসকারী যুবক রাকেশ পাঁড়ে। জানাজায় রাকেশের বাবা ভুল্লুর পাঁড়ে, স্ত্রী ধুলু পাঁড়ে, এবং দুই ছেলে রেখে মারা যান বহুদিন আগে। তারপর থেকে সংসার চালানোর খরচ জোগাড় করতে ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নিতে হয় মা কে।পাঁচ টাকা দশ টাকা দুই টাকা সংসারে লেগে যেত সঞ্চয় বলতে ওই এক টাকার কয়েন। রাকেশ ছোটো, বড় ছেলে বিবাহ করে থাকে শ্বশুর বাড়িতেই থাকে । তাঁর সাথে বিশেষ কোন যোগাযোগ নেই। তবে রাকেশ মায়ের অত্যন্ত আদরের ।
কলকাতায় লোহার তৈরি জিনিসপত্রের দোকানে কাজ করে। স্বল্প উপার্জনের মোটরসাইকেলের শখ কোনদিন পূরণ হবে না জানায় মাকে। ছেলের মুখে হাসি ফোটাতে মায়ের এপর্যন্ত জমানো দু বস্তা ১ টাকার কয়েন তুলে দেন তিনি।পছন্দমত স্কুটির দাম ৭০,০০০ টাকা যা সম্পূর্ণ খুচরো কয়েনে দিতে চায় ওই যুবক। শোরুম ম্যানেজার থেকে সরাসরি মালিক ফোনাফুনি হয় বেশ খানিকটা সময়। এক টাকার কয়েন দোকানদার বাধ্য এইরকমই নানা সরকারি নিয়ম-নীতির কথা জেনেই হয়তো শেষমেষ রাজি হয়েছিলেন মালিক।
এরপরে বস্তা করে নিয়ে আসা সেই কয়েন ফ্লোরের মেঝে তে ঢেলে গুনে টাকার অংক বুঝে নিতে শোরুমের বেশ কয়েকজন কর্মীদের গলদঘর্ম |অবশেষে রাকেশ পাঁড়ে হাসিমুখেই বাড়ি ফিরলেন । মায়ের ইচ্ছাও পূর্ণ হলো ।