দেবেন তেওয়ারি :: সংবাদ প্রবাহ :: ঝাড়গ্রাম :: বেআইনি স্পঞ্জ আয়রন ফ্যাক্টরীর জমি দখল কে কেন্দ্র করে গাডরো এলাকায় উত্তেজনা। বিক্ষোভ গ্রামবাসী দের।
এবার কি
দ্বিতীয় বাগটুই
হবে ঝাড়গ্রাম
এর
“গাডরো” ?
অভিযোগ গ্রামের পর গ্রাম জোর করে বেআইনি ভাবে দখল করে পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলছে এই ব্যাবসায়ী।আদালতের নির্দেশ কে অগ্রাহ্য করে জোর করে জমি অধিগ্রহণ চালানোর অভিযোগ।
গ্রামবাসীরা বাধা দিতে গেলে তাদের ভুয়ো কেস দিয়ে পুলিশি হয়রানির অভিযোগ। জমি দখলের নামে যত রকম বেআইনি কাজ করা যায় সবই করছে এই অসাধু ব্যাবসায়ী। আদিবাসীদের জমি দখল, সরকারি পাট্টার জায়গা দখল করে নেওয়া |
রায়তি জায়গা দিতে না চাইলে সেখানে বেআইনি ইনগট কারখানার ছাই রাতের অন্ধকারে জমিতে ফেলে জমির চরিত্র বদল করে দেওয়া।
তাতেও জমি মালিকরা রাজি না হলে ভুয়ো কেস দেওয়া হচ্ছে ঐ সমস্ত মালিকদের বিরুদ্ধে। এমনকি ফরেষ্টের শাল গাছ সহ জমি দখল করে শাল গাছকে উপড়ে ফেলে বিঘের পর বিঘে জমি দখল করে পাঁচিল দিয়ে ঘিরে নিজের বলে দাবি করছে এই অসাধু ব্যাবসায়ী।
অবাক বিষয় যে এই সমস্ত বেআইনি কাজে পুলিশ এবং প্রশাসনের একাংশ যুক্ত থাকায় গ্রামবাসী দের সমস্যার সমাধান না করে উল্টে তাদের কে গ্রেপ্তার করে ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে। এমনকি একাধিক কেসে এই ব্যাবসায়ীর বিরুদ্ধে আদালত রায় দিলেও তা অগ্রাহ্য করছে এই ব্যাবসায়ী সজ্জন পাটোয়ারী ।ইনি রেশমি স্পঞ্জ আইরন কারখানার মালিক |
অভিযোগ রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী র মদতেই এই ব্যাবসায়ী কাউকে পরোয়া করছে না। এমন কি প্রশাসনের একাংশ এই কোরাপসনে সরাসরি যুক্ত।আজ গ্রামের মধ্যে জোর করে ভারি গাড়ি চালানোর জন্য রাস্তা তৈরীর চেষ্টা করলে গ্রামবাসীরা বাধা দেয়।
ঘটনা স্থল থেকে গ্রামবাসীরা বিধায়ক কে বিষয়টা জানালে, ঘটনা স্থলে পৌছান বিধায়ক ডাঃ খগেন্দ্র নাথ মাহাত। গ্রামবাসীরা এই ব্যাবসায়ীর বেআইনি দখল থেকে শুরু করে সমস্ত বিষয় লিখিত অভিযোগ আকারে বিধায়কের হাতে তুলে দেন।
গ্রামবাসী দের বুঝিয়ে শান্ত করে বিক্ষোভ সামাল দেন তিনি। জানান বিষয়টা যথা স্থানে জানাবেন এবং গ্রামের মানুষের জীবন- জীবিকা রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সমস্যার সমাধান করেন বিধায়ক ডাঃ খগেন্দ্র নাথ মাহাত।