সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: ভাঙ্গড় :: অভিযোগটা অনেকদিন ধরেই করছিলেন স্থানীয়রা।সকাল বিকাল অসংখ্য অচেনা মানুষদের ভিড় ভাঙরের ওই বাড়িটার সামনে।দলে দলে ছেলেমেয়েরা রহস্যে মোড়া ওই বাড়িটায় ঢুকছে আবার এক দু ঘণ্টা সময় কাটিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে ।
বাড়িটা মালিক এলাকার এক প্রভাবশালী শিক্ষক । তাই প্রতিবাদ করতে চাইলেও সবাই সাহস পাচ্ছিলেন না ।
শেষেমেষ পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই বাড়িতে ঢুকে পড়ে স্থানীয়রা। আর সেখান থেকেই অসংলগ্ন অবস্থায় উদ্ধার হয় দুজন । এলাকাবাসীর অভিযোগ। ভাঙড়ের স্কুল শিক্ষক আব্দুল মতিন । মতিন তার তিন তলার বাড়িতে হোটেলের মত রুম নম্বর দিয়ে একাধিক রুম করেছেন ।
অনলাইনে হোটেল বুকিং এর মাধ্যমে মাত্র পাঁচশো থেকে হাজার টাকার মধ্যে রুম ভাড়ার বিনিময়ে ওই বাড়িটাতে যে কাউকে ঘর ভাড়া দিতেন। এজন্য কোন পরিচয়পত্র দেখানোর দরকার নেই ।স্থানীয়রা বারাবার এটা নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেও কেউ কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে দাবী স্থানীয়দের ।
অবশেষে স্থানীয় বাসিন্দারা কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অসংলগ্ন অবস্থায় এক এক গৃহবধূ ও তাঁর পরিচিত এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে।এই ঘটনায় স্থানীয়রা শাসকদল ও পুলিশের একাংশের মদতের অভিযোগ তুলেছেন । শেষ পর্যন্ত ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে গ্রামবাসীরা ।
বনমালীপুর গ্রামের বাসিন্দা শবনম বিবি বলেন, ‘মাধ্যমিকের পরীক্ষার শেষে অনেক পরীক্ষার্থী এখানে এসে ঘর ভাড়া নিয়েছিল।পুলিশকে বললে এক দুদিন লোক দেখানো অভিনয় করে বন্ধ রাখে । আবার সব কিছু শুরু হয়ে যায় আগের মত।
ভাঙড় ২ ব্লকের বিডিও কার্তিকচন্দ্র রায় বলেন ওখানে দীর্ঘদিন ধরে মধুচক্রের আসর বসছে বলে আমার কাছে অভিযোগ করেছিলেন স্থানীয়রা। আমি পুলিশকে বলেছি বিষয়টি দেখার জন্য।