নামখানা নির্যাতিতা মহিলার পাশে দাঁড়ালো বিজেপি রাজ্য মহিলা মোর্চার সভাপতি ও বর্ষীয়ান নেতা কান্তি গাঙ্গুলি

সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: কাকদ্বীপ :: নামখানা নির্যাতিতা মহিলার পাশে দাঁড়ালো বিজেপি রাজ্য মহিলা মোর্চার সভাপতি তনুজা চক্রবর্তী ও বর্ষীয়ান নেতা কান্তি গাঙ্গুলি ।

মঙ্গলবার সকাল থে‌কে থমথ‌মে নামখানার পাতিবু‌নিয়া। শনিবার ভোরে এক গৃহবধূর উপর পাশবিক অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে । নৃশংস ঘটনার কেটেছে তিনদিন।

স্বামীর অ‌ভি‌যো‌গে অভিযুক্ত অমল খাটুয়া এবং কার্ত্তিক মাইতি নামে ২ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে নামখানা থানার পুলিস। কিন্তু অভিযোগ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আরও ৪ জন। ঘটনায় অভিযোগ রাজ‌নৈতিক প্রতি‌হিংসার।

জানা যায়, পরিবার আগে কং‌গ্রেস কর‌ত। তারপর তৃণমূল। প‌রে অত্যাচারের কার‌ণে বি‌জে‌পিতে যোগ। তবে ঘটনার পর গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ, কড়াভাবে চলছে নজরদারি।

তবুও চার‌দি‌নের মাথায় আজও থমথ‌মে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার দ্বিতীয় ঘেরি এলাকা। ঘটনায় পুলিসের গাফিলতির কথা বারবার উঠে আসছে। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতদের কাকদ্বীপ দেওয়া‌নি ও ফৌজদা‌রি আদাল‌তে তোলা হলে অভিযুক্তকে ২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় বিচারক। ধৃতদের বিরুদ্ধে ধর্ষ‌ণের মামলা রুজু করা হয়েছে।

অন্যদিকে পরিবার সূত্রে খবর, নির্যাতিতা ম‌হিলার শারী‌রিক অবস্থা স্থি‌তি‌শীল। সি‌ভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে গোটা বা‌ড়ি নিরাপত্তার চাদরে মু‌ড়ে ফেলা হ‌য়ে‌ছে। জানা যায়, আজ কাকদ্বীপ সুপা‌রস্পেশা‌লি‌টি হাসপাতা‌লে তাঁকে দেখ‌তে আস‌ছেন বিজেপির রাজ্য ম‌হিলা মোর্চার সভাপ‌তি তনুজা চক্রবর্তী। থাক‌বেন মথুরাপুর বি‌জে‌পির সাংগঠ‌নিক জেলা সভাপ‌তি প্রদ্যুত্ বৈদ্য। নামখানা নির্যাতিতা মহিলার পাশে সিপিএমের বর্ষিয়ান নেতা শান্তি গাঙ্গুলী।

আজ বিকেলে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হসপিটালে নামখানা নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে দেখা করেন কান্তি গাঙ্গুলি। কান্তি গাঙ্গুলি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের মহিলা সংগঠনের নেতৃত্ব।প্রসঙ্গত, গৃহবধূকে গণধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য গায়ে কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ।

নির্যাতিতা মহিলা বর্তমানে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত শুক্রবার রাতে বাড়িতেই ছিলেন বছর চল্লিশের ওই মহিলা।

ভোর ৪ টে নাগাদ তিনি শৌচাগারে যাওয়ার জন্য বাইরে বের হন। অভিযোগ, সেই সময় জনাকয়েক জন যুবক এসে তাঁর মুখ চেপে ধরে। এরপর তাঁকে বাড়ির দোতলায় তুলে নিয়ে যায়। মহিলাকে বেঁধে ফেলে ওই যুবকেরা। তারপর ওই পাঁচজন মিলে মহিলাকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

অভিযুক্তদের মধ্যে দুজনকে চিনতে পারেন মহিলা। বধূর অভিযোগ, এরপর গণধর্ষণের প্রমাণ লোপাটের জন্য বাড়িতে থাকা কেরোসিন নিয়ে তাঁর গায়ে ছিটিয়ে দেয় অভিযুক্তরা। মহিলা বাঁচার জন্য চিৎকার করলে সেইসময় প্রতিবেশী এক আত্মীয় তৎক্ষণাত্ বেরিয়ে আসেন। তখনই ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 + 9 =