নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নদিয়া :: তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর পেটে লাথি, নষ্ট করে দেওয়া হলে সন্তান, অভিযোগ করায় পুনরায় বাড়ি ভাঙচুর। দেওয়া হল প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি। আতঙ্কে ঘরছাড়া পরিবার। অভিযোগের তীর তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর থানার গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের টেংরি ডাঙ্গা এলাকায় ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল কর্মীরাই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হিসাবে ভোটে জয়যুক্ত করান স্থানীয় ইঁটভাটার মালিক আনোয়ার হোসেন মন্ডলকে। অভিযোগ, ভোটে জেতার পর থেকে কর্মীদের খোঁজখবর তিনি রাখছিলেন না। ফলে কর্মীদের সঙ্গে বাড়ে দূরত্ব। কর্মীদের বিভিন্ন রকম মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগও উঠে এসেছে পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে।
শান্তিপুর থানার গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মেদিয়ায় বাড়ি আনোয়ার হোসেন মন্ডলের। কর্মসূত্রে তার স্বামী বাইরে থাকেন। সেই কারণে সুলেখা খাতুন মাঝেমধ্যেই পাশের গ্রামে তার বাপের বাড়িতে বেড়াতে যান।
অভিযোগ, আত্মীয় না হয়েও আনোয়ার হোসেন মন্ডল ওই গৃহবধূর ওপর ফতেয়া জারি করে বাপের বাড়িতে না যাবার জন্য। কিন্তু সেই নির্দেশ মানছিলেন না সুলেখা খাতুন।
আনোয়ার হোসেন মন্ডল তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর জন্য গত ১৭ এপ্রিল রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ লোকজন নিয়ে বাড়িতে চড়াও হয়। বাড়িতে ঢুকে অত্যাচার করে। অন্তসত্তা মহিলার পেটে লাথি মারা হয়।
তিনদিন হাসপাতালে ভর্তি রাখার পর তাঁর গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। সেই বিষয়ে শান্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
শুক্রবার অভিযোগ দায়ের করার পর রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ আনোয়ার হোসেন মন্ডল তার দলবল নিয়ে বোমা পিস্তল নিয়ে বাড়িতে এসে ব্যাপক ভাঙচুর করে । পুলিশী তদন্ত চলছে ।