নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: পূর্ব মেদিনীপুর :: পূর্ব মেদিনীপুরে মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। জেলা পুলিশ প্রশাসন তদন্তে নেমে তৃণমূল নেতার সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। দুই মেদিনীপুরে কেলেঘাই নদী চর থেকে অবৈধভাবে পাচার হচ্ছিল মাটি। মাটি খননের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছিল। পাশাপাশি বন্যার প্রবণতা বেড়েই চলেছিল।শনিবার রাতভর তল্লাশি চালিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর থানার পুলিশ তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তরা হল ভগবানপুর থানা এলাকায় পিন্টু প্রধান , রবীন্দ্রনাথ সামন্ত ও মদন কুমার ভক্তা।
রবিবার অভিযুক্তদের কাঁথি মহকুমা আদালতে পাঠায় পুলিশ। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদীর চরে থাকা ইটভাটাতে নোটিশ দেওয়া হয়।তারপরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও তৃণমূল নেতার মদতে রাতের অন্ধকারে পাচার হচ্ছিল মাটি। শনিবার রাতভর তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।গ্রেফতার হন তৃণমূল নেতা পিন্টু প্রধান । এলাকায় যথেষ্ট দাপট রয়েছে।
কে এই পিন্টু প্রধান ? পিন্টু প্রধানের বাবা রামহরি প্রধান ভগবানপুর তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি রয়েছেন ! পিন্টু প্রধানের দাদা নান্টু প্রধান একসময় ভগবানপুরে দাপটে তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত ছিল। নান্টু প্রধানের নাম শুনলেই কেঁপে উঠতো ভগবানপুর সহ পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। গত কয়েক বছর আগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নান্টু প্রধান এলাকার জনরোষের শিকার হন। নৃশংস ভাবে পিটিয়ে খুন করে নান্টু প্রধানকে। তারপর থেকে এলাকার দায়িত্ব ধরেন নান্টুর ভাই পিন্টু। ভগবানপুরে বিজেপি নেতা চন্দন মাইতি খুনের নাম উঠে আসে পিন্টু প্রধানের।
মামলায় অভিযুক্ত তালিকায় প্রথম সারিতেই রয়েছেন পিন্টু প্রধান ! এরপর আদালত থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিনে রয়েছেন পিন্টু প্রধান ! যদিও পিন্টু প্রধানের বিরুদ্ধে বিজেপির অভিযোগ , একাধিক অসামাজিক কাজকর্ম সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন পিন্টু প্রধান !
উপকূল থানার পুলিশ রাতের অন্ধকারে মাটি পাচার করার অভিযোগে ৪ অভিযুক্তকে পাকড়াও করার পাশাপাশি জেসিবি ও ট্রাকও বাজেয়াপ্ত করে।সমুদ্র উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা তল্লাশি চালান দেশপ্রাণ ব্লকের ভিডিও শুভজিৎ জানা, ভূমি দপ্তরের আধিকারিক ও জুনপুট উপকূল থানার ওসি প্রলয় চন্দ্র সহ একাধিক পুলিশ আধিকারিকরা ।