নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: মুর্শিদাবাদ :: ভর সন্ধ্যেবেলার কলেজ ছাত্রীকে মেস থেকে ডেকে এনে জনসমক্ষে কুপিয়ে খুন। বাধা দিতে গেলে বন্দুক উঁচিয়ে তেড়ে গেল দুষ্কৃতি। হাড় হিম করা এহেন মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল শহর বহরমপুর।
সোমবার সন্ধ্যে নাগাদ বছর কুড়ির এক কলেজ ছাত্রীকে তার মেসবাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ।পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ওই কলেজ ছাত্রী বহরমপুর গার্লস কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান শাখার তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। মালদহের ইংরেজ বাজারের বাসিন্দা মেয়েটি পড়াশোনার জন্যই বহরমপুরের সূর্য সেন রোডে গোরাবাজারে একটি মেস বাড়িতে থাকত।
এদিন তাকে মেস বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় দুই যুবক। তারপর তাদেরই একজন কুপিয়ে খুন করে তাকে। এই খুনের এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, ‘সন্ধ্যাবেলা আমরা চার বন্ধু মিলে ওই রাস্তা দিয়ে আসছিলাম। দেখতে পাই রাস্তার উপর ছাত্রীটিকে ছুরি দিয়ে এক যুবক কোপাচ্ছে।
আমরা প্রথমে বুঝতে পারিনি যে ওর কাছে বন্দুক আছে কি না। তাকে বাধা দিতে গেলে বন্দুক বার করে গুলি চালানোর হুমকি দিতে থাকে।’
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশের অনুমান ওই যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই কলেজছাত্রীর । পরিবারের চাপে সাম্প্রতিককালে তাদের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি হয়। সেই আক্রোশ বশতই ওই কলেজ ছাত্রীকে খুন করে যুবক। আপাতত ঘটনাটির তদন্তে নেমেছে পুলিশ ।
মালদহ থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিনিধি কুমার মাধবের সংযোজন : মালদার মেয়েকে কুপিয়ে খুন বহরমপুরে। মৃতের নাম সুতপা চৌধরী(২০)। বাড়ি মালদার ইংরেজ বাজারের ২৮নম্বর ওয়ার্ডের এয়ারভিউ কম্প্লেক্সে।
বাবার নাম স্বাধীন চৌধুরী। পেশায় হাই স্কুলের শিক্ষক। মা পাপুলী চৌধুরী হাউস ওয়াইফ । তাদের গ্রামের বাড়ি রাজনগর। ঘটনার খবর পেয়ে মালদার বাড়িতে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ ঘোষ। প্রসঙ্গত,সোমবার ভর সন্ধ্যায় জনবহুল এলাকায় ওই যুবতীকে কুপিয়ে খুন করে এক যুবক। বহরমপুরের গোরাবাজার শহীদ সুর্যসেন রোড সুইমিংপুলের গলিতে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়।
রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
আরও জানা গিয়েছে ওই ছাত্রী বহরমপুর কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান শাখার তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। পড়াশোনায় অত্যান্ত ভালো ছাত্রী বলে এলাকায় পরিচিত। আরও জানা গিয়েছে,এই খুনের পেছনে মালদা যোগ রয়েছে বলে খবর।
গোটা ঘটনায় মালদহের ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ও বহরমপুর থানার পুলিশ একযোগে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মালদহের স্থানীয় কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ ঘোষ জানান, এলাকায় অত্যান্ত ভালো ছাত্রী ছিলেন। তাকে যে এই ভাবে খুন হতে হবে ভাবা যাচ্ছে না। তবে যারা এই কাজ করেছে তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
ঘটনায় অভিযুক্ত গ্রেপ্তার মালদহ গামী বাস থেকে ||
ওই অভিযুক্ত যুবকের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে সামশেরগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে মুর্শিদাবাদ পুলিশ। ধৃত সুশান্ত চৌধুরী নামের ওই যুবক বাসে চেপে তার বাড়ি মালদায় চলে যাবার পথে তাকে সামশেরগঞ্জ এলাকায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ।সুশান্ত চৌধুরী নামের ওই যুবককে গ্রেফতার করে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ কি কারনে ছাত্রী কে নৃশংসভাবে খুন করল ওই যুবক। ঘটনার তিন ঘণ্টার মধ্যে দুষ্কৃতি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করায় পুলিশের ভূমিকা প্রশংসনীয়।