নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নদিয়া :: নদীয়ার শান্তিপুর রাজপুত পাড়া লেনের বাসিন্দা ১৮ বছর বয়সী সায়ন সিংহরায় ডাকনাম জিৎ, মা বাবার একমাত্র সন্তান। পুনায় একটি হোটেলে কর্মী হিসেবে কাজ করতো সে।
গতকাল সকালেও মাকে ফোন করে বাড়ি ফেরার কথা জানায় সে। শান্তিপুরের স্থানীয় এক বন্ধু সেও জিতের সাথে একই হোটেলে কাজ করতো বলে জানা গেছে। গতকাল বাড়ি ফেরার সময়ে ওই বন্ধু তার সাথে ছিলো।কিন্তু দুপুর বেলার পর থেকে তার মোবাইলে সুইচ অফ থাকার কারণে পরিবার থেকে আর যোগাযোগ করতে পারেনি। সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা নাগাদ স্থানীয় এক টোটো চালক এবং ওই বন্ধু জিতকে বাড়িতে তার খাটে শুইয়ে দিয়ে যায়, পরিবারের বাবা মা জেঠিমা কেউই সে সময় বাড়ি ছিলেন না, একমাত্র অসুস্থ জ্যাঠামশাই বাদে।
এরপর জিতের মা বাবা রাত্রি দশটা নাগাদ ফিরে লক্ষ্য করেন ছেলের নাক মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। এ বিষয়ে জিতের মায়ের বক্তব্য ছেলে বিভিন্ন রকম নেশা আসক্ত হয়ে পড়ে অনেক দিন আগে থেকেই, তাই অন্য কারও দিকে আঙুল তোলার আগে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেখিয়ে নিয়ে তবেই অভিযোগ জানাবেন।বাবা এই মুহূর্তে কাউকে সন্দেহ করছেন না, বলেই জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই শান্তিপুর থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই টোটো চালক এবং বাড়িতে নিয়ে আসা ওই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়ে রিপোর্টের প্রতীক্ষায় শান্তিপুর থানার পুলিশও। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজপুত পাড়া এলাকায়।
প্রকাশ্যে না হলেও এলাকাবাসী অনেকেই জানান বিভিন্ন রকম নেশা সামগ্রীর সাথে জড়িয়ে পড়ছে এ প্রজন্মের বেশকিছু অল্প বয়স্ক ছেলে, তাদের পেছনে কাজ করছে বড় চক্র। প্রশাসনের ভূমিকা ইতিবাচক থাকলেও আরো কঠোর হতে হবে এক্ষেত্রে।