কুমার মাধব :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: মানিকচকে চৌকি মিরদাদপুরের পঁচিশা এলাকায় দেবত্তোর সম্পত্তি দখলের চেষ্টা শাসকদলের মদদপুষ্ট জমি মাফিয়াদের। জমি মাফিয়াদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এলাকার শাসকদলের উপপ্রধান বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে সরব এলাকাবাসী। গণস্বাক্ষর করে অভিযোগ দায়ের গ্রামবাসীর। ঘটনাটি মানিকচকের চৌকি মিরদাদপুর অঞ্চলের পঁচিশা এলাকার।
জানা গেছে পঁচিশা এলাকায় রাজ্য সড়ক সংলগ্ন ৫১ শতক জমির দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত। সেই স্থানে একটি কালীমন্দিরও আছে। গ্রামবাসীদের দাবি আনুমানিক ৮০ বছর আগে থেকে এই কালী মন্দিরে পুজো হয়ে আসছে। পুরো ৫১ শতক জমি দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন গ্রামবাসী।এই জমিতে একটি কমিউনিটি টয়লেট তৈরি করতে উদ্যত হয় মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতি। কিন্তু টয়লেট নির্মাণের কাজ করতে গেলে বাধা দেন বেশ কয়েকজন। তাদের দাবি এই জমি তাদের রায়তি সম্পত্তি। তাদের দাবি মোট ৫১ শতক জমির মধ্যে ৩১শতক দেবোত্তর সম্পত্তি। বাকি কুড়ি শতক জমির মালিকানা তাদের।
গ্রামবাসীদের দাবি জমিদার বংশধররা বেআইনিভাবে দেবোত্তর সম্পত্তির ২০ শতক জমি বিক্রি করেছেন স্থানীয় জমি মাফিয়াদের। যাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান সেখ সাজিদ সহ বেশ কয়েকজন। গ্রামবাসীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যেহেতু জমি মাফিয়ারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তাই এই দেবোত্তর সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলায় এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্ন হতে পারে।
গ্রামবাসীরা গণস্বাক্ষর করে মানিকচক ব্লক প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে এ সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি চৌকি মির্জাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ সাজিদের।
তার দাবি তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বলে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। জমি সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কোনো ভাবে যুক্ত নন। মন্দিরের জমিদাতাদের পরিবার দাবি করছেন মোট ৫১ শতকের জমির মধ্যে কুড়ি শতক তাদের রায়তি সম্পত্তি। আমরা চাই আইন মোতাবেক কাজ হোক।