সুদেষ্ণা মন্ডল :: :: সংবাদ প্রবাহ :: সোনারপুর :: দক্ষিণ ২৪ পরগনা সোনারপুর থানা রেনিয়া পার্কের ঘটনা ।ঘটনাটি হল মদন রায় ও সাবিত্রী রায় মিলে দিব্যি তাদের সংসার চলছিল ১২ বছর ধরে।
স্ত্রী সাবিত্রী রায় তার পুরুষ বন্ধু জ্ঞান সাগর শর্মা টাকার দরকার পড়লে মদন বাবুর কাছ থেকে নিতেন। প্রায় চলছিল অনেকদিন ধরে টাকা লেনদেনের কাজ । মদনবাবু কোন কার্যে টাকার দরকার পড়লে তার স্ত্রীর বন্ধুর জ্ঞান শর্মার কাছে থেকে টাকা ফেরত চায়।
সেই টাকা চাওয়ার জন্য কিন্তু মদন বাবুর স্ত্রী ও তার বন্ধু জ্ঞান শর্মা ও জ্ঞান শর্মার বন্ধুরা মিলে মদন বাবুর বুকে গুলি করে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে দেহটি দু’টুকরো করে। তারপর দীনেশ ত্রিবেদী বলে এক ব্যক্তির জমিতে দেহটি বস্তার মধ্যে ঢুকিয়ে মাটিতে পুঁতে দেয়।
প্রসঙ্গত ২০১৪ সালে ওই জ্ঞান শর্মার সঙ্গে যুক্ত থাকা এক আরেক ব্যক্তি তিনি কিন্তু প্রকাশ করেন সমস্ত ঘটনাটি।
তারপর নড়েচড়ে বসে সোনারপুর থানার পুলিশ। আটক করা হয় তার স্ত্রী সাবিত্রী রায় ও তার বন্ধু জ্ঞান শর্মাকে। সোনারপুর থানার পুলিশ আধিকারিকরা দীনেশ ত্রিবেদী ব্যক্তির জমি থেকে মদনবাবুর দেহটি তোলার ব্যবস্থা করে। তারপর সাবিত্রী দেবী ও তার বন্ধু জ্ঞান শর্মাকে শনাক্তকরণের কাজ করেন।
শনাক্তকরণের কাজ শেষ হলে বিচার প্রক্রিয়া চলে আজ ২০১৪ সালের সেই মামলাটির নিষ্পত্তি হল আসামি জ্ঞান শর্মাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিলেন ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের জেল।
মদন বাবুর স্ত্রী আসামি সাবিত্রী রায়কে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই মাসের জেল । ওইদিকে দীনেশ ত্রিবেদীকে বেকসুর খালাস করলেন বারুইপুর অতিরিক্ত জেলা দায়ারা আদালত বিচারক মান্না সাহেব।