“ধর্ষন ও নারী পাচারের অভিযোগে দুই দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করল শিলিগুড়ি পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: শিলিগুড়ি  :: “ধর্ষন ও নারী পাচারের অভিযোগে দুই দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করল শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ভক্তিনগর থানার পুলিশ ও স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ।

ধৃতদের নাম সাফিজুল ইসলাম ও উত্তম সুত্রধর। সাফিজুল আসামের কোকরাঝার এলাকার বাসিন্দা। উত্তমের বাড়ি শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানার দশপল্লিতে। ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।জানা গিয়েছে আসাম থেকে পশ্চিমবঙ্গে এসে নিজের নাম পরিচয় গোপন করে মহিলাদের ফুসলিয়ে তাদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার পর নানা জায়গায় তাদের পাচার করাই কাজ ছিল এই দুই অভিযুক্তের।

ভক্তিনগর থানা ছাড়াও জলপাইগুড়ি মহিলা থানা, শিলিগুড়ি মহিলা থানা, মেটেলি থানা ও হলদিবাড়ি থানায় মহিলা পাচারের অভিযোগ রয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে।

প্রতিটি কেসের মুল অভিযুক্ত রাহুল সরকার “ওরফে সাফিজুল ইসলাম। এই কাজে সাফিজুলকে সহযোগিতা করার অভিযোগে উত্তম সুত্রধরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি ইস্ট শুভেন্দু কুমার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, সাফিজুল মেয়েদের ফুসলিয়ে উত্তমের বাড়িতে নিয়ে যেত তারপর তাদের ধর্ষন করে নেশার ইনজেকশান দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পাচার করত।

এই বিষয়ে ভক্তিনগর থানায় প্রথম অভিযোগ আসে ২০১৬ সালে। পরে আরও দুটি অভিযোগ আসে।বহুদিন ধরেই অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছিল বিভিন্ন থানা। শেষে গত ৬ ই মে বাগডোগরা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সাফিজুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উত্তম সুত্রধরের খোঁজ পায় পুলিশ।

ইতিমধ্যেই ভক্তিনগর থানার অভিযোগ অনুযায়ী তিনটি মহিলাকেই উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাকি বিভিন্ন থানায় অভিযোগ গুলির বিষয়েও তদন্তে চালানো হচ্ছে বলে খবরে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − eight =