সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: দক্ষিণ ২৪ পরগনা :: বুলবুল,আমফান, ইয়াস, একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াল স্মৃতি এখনও টাটকা। ক্ষতচিহ্ন এখনও শুকোয়নি। এরইমধ্যে এবার আবার নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। আগের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ‘অশনি’ মোকাবিলায় কোমর বেঁধে নেমেছে জেলা প্রশাসন।ঘূর্ণিঝড় অশনি র প্রভাব সরাসরি পড়ছেনা রাজ্যে। কিন্ত অশনির জেরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা রয়েছে জেলাগুলিতে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি. উলগানাথন জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তত জেলা প্রশাসন |
নামখানা ও গোসাবাতে মোতায়েন ২টি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল।থাকছে ২টি রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দল।একটি থাকছে গঙ্গাসাগরে অপর একটি থাকছে পাথরপ্রতিমাতে।
ত্রিপল, চাল, শুকনো খাবার, জামাকাপড়, ওষুধ, গবাদি পশুর খাদ্য মজুত করা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সমস্ত ব্লকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। মহকুমার শাসক ও জেলা শাসকের অফিস খোলা ২৪ ঘণ্টা।
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে। সাগর, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা ও গোসাবায় বসানো হয়েছে ওয়াটার পাউচ মেশিন। প্রত্যন্ত এলাকায় পাঠানো হয়েছে ২ লাখ জলের বোতল। হাসপাতালগুলিতে অ্যান্টিভেনম ও ওষুধ মজুত করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
একনাগাড়ে মাইকিং চলছে। প্রশাসন ও পুলিসের উচ্চপর্যায়ের কর্তারা ব্লকে ব্লকে নজরদারি চালাচ্ছেন। নামখানা প্রশাসনিক বৈঠকের পর পর বকখালি ফ্রেজারগঞ্জ নদী বাঁধের পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখেন জেলাশাসক।
এর পাশাপাশি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সঙ্গেও কথা বলেন ও সব রকম বিপর্যয়ের মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেয়। ঘূর্ণিঝড় অশনি প্রভাব তেমন ভাবে রাজ্যে না পড়লেও সব রকমের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত জেলা প্রশাসন।