প্রতিশ্রুতি সার, কয়েক বছরেও সরানো হলোনা নদী বাঁধ, পূর্ণিমার ষাঁড়াষাঁড়ির কোটালের আতঙ্কে প্রহর গুনছে কয়েকশো পরিবার

সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: পাথরপ্রতিমা :: ঘূর্ণিঝড় অশনি হাত থেকে রক্ষা পেয়ে ও শান্তি নেই। নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি আর বৃষ্টির জল পড়ে দুর্বল হয়ে পড়ছে মাটির নদী বাঁধ। সুন্দরবন বাসীদের আতঙ্কের আরেক নাম “পূর্ণিমার ভরা কোটাল”। পাথরপ্রতিমা ব্লকের অচিন্ত্য নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিষ্ণুপুর গিরিপাড়া এলাকায় কয়েক হাজার মানুষের বাস।

আম্ফান থেকে ইয়াশ একের পর এক বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের তছনছ হয়ে গিয়েছে পাথরপ্রতিমা বিস্তীর্ণ অঞ্চল। মাটির নদী বাঁধ প্রায় সময় ভেঙে যায়। নদীর নোনাজল প্রবেশ করতে থাকে গ্রামে নষ্ট হয়ে যায় বিঘের পর বিঘে চাষের জমি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ইয়াসের সময় বিষ্ণুপুর গিরি পাড়ার মৃদঙ্গ ভাঙা সেতু সংলগ্ন এলাকায় নদী বাঁধ থেকে জল ঢুকে এলাকা প্লাবিত হয়। নোনা জলে ডুবে যায় শতাধিক বিঘা জমি পুকুর ঘরবাড়ি।ইয়াশ কেটে যাবার পর এলাকার জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সেচ দপ্তরের লোকজন কথা দিয়েছিলেন ওই নদী বাঁধ সংস্কার হবে। কিন্তু সেই কথা কথাই থেকে গেল ঘুরে গিয়েছে বছর। এখনো পর্যন্ত সেই নদী বাঁধ সংস্কার হয়নি। কেবলমাত্র মাটির ধুয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পলিথিন দিয়ে মাটি দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে সে পলিথিন এর করুণ দশা।

পলিথিন ছিড়ে ফেটে চৌচির।অশনি কেটে গেলেও সামনে রয়েছে ষাঁড়াষাঁড়ির বড় কোটাল, এই কোটালের জলে ভেঙে যেতে পারে নদী বাঁধ, আশঙ্কায় রয়েছে এলাকাবাসী। আগামী দিনে এই নদীবাঁধ সংস্কার না হলে বড়োসড়ো আন্দোলনের পথে যাবে এলাকার মানুষ, এমনই দাবি এলাকাবাসীর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − 6 =