সুন্দরবনের বেহাল নদী বাঁধ সরোজমিনে দেখতে গেলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি

সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: সুন্দরবন :: স্বাধীনতার পর এই রাজ্যে পরিবর্তন হয়েছে বহু সরকারের। কিন্তু নদী বাঁধের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে থেকে কাছে কাঁচা মাটির বাঁধ।

কেন্দ্রের পাঠানো হাজার হাজার কোটি টাকার নয় ছয় হয়েছে নদী বাঁধ তৈরির নামে। আর তাই বছরের পর বছর এই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।শুক্রবার নদী বাঁধ পরিদর্শন করে একথা বললেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। এদিন সকালে গদখালি থাকে জলযানে করে দিলীপবাবু উপস্থিত হন সুন্দরবনের বালি দ্বীপে। তারপরে যান দয়াপুরে। নদীবক্ষ দিয়ে যাওয়ার পথে দুপারের বিস্তীর্ণ কাঁচাবাঁধ পরিদর্শন করেন।

বিভিন্ন এলাকায় নদী পথে নেমে বেশ কিছু এলাকা পায়ে হেঁটে নদী বাঁধের অবস্থা জানার চেষ্টা করেন সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে। এ বিষয়ে দিলীপবাবু বলেন, কেন্দ্র সরকার আইলার পর থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে সুন্দরবনের নদী বাঁধ নির্মাণের জন্য। সেই টাকার কোন হিসাব রাজ্য দেয়নি।

১০০ দিনের কাজের টাকায় নদী বাঁধে  মাটি না দিয়ে মাটি কাটার মেশিন দিয়ে সেই কাজ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় ১০০ দিনের কাজের টাকা মাইকে ঘোষণা করে দলীয় পার্টি অফিস থেকে সেই টাকা ভাগ হয়।

রাজ্য সরকার প্রতিবছর পাঁচ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগানোর কথা বললেও নদী বাঁধের বিস্তীর্ণ এলাকায় ম্যানগ্রোভ নেই। যদি ম্যানগ্রোভ থাকতো তাতেও কিছুটা নদীবাঁধ রক্ষা করা যেত। নদীবাঁধ রক্ষার যে চেষ্টা হচ্ছে তার সবটাই অস্থায়ীভাবে। পাকা বাঁধ নির্মাণের কোন চেষ্টাই করেনি সরকার।

মানুষকে ভুগতে হচ্ছে। নদী বাঁধের টাকা নিয়ে নেতারা নিজেদের বাড়িতে উন্নয়ন করেছে। প্রতিবছর নদী বাঁধ ভেঙে যায় আর নেতাদের উন্নয়ন হয়। কারণ নদী বাঁধ যত ভাঙবে ততই তাদের লাভ। কেন্দ্র পাকা বাঁধের জন্য টাকা পাঠালে কোথাও এই টাকা দিয়ে পাকা বাঁধ নির্মাণ হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 1 =