বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। নদীবক্ষ দিয়ে যাওয়ার পথে দুপারের বিস্তীর্ণ কাঁচাবাঁধ পরিদর্শন করেন।

সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: নামখানা :: প্রতি বছর বর্ষা আসে আর নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় এলাকা। ভিটে হারা হতে হয় উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষ জন দের ।

স্বাধীনতার পর এই রাজ্যে পরিবর্তন হয়েছে বহু সরকারের। কিন্তু নদী বাঁধের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে থেকে কাছে কাঁচা মাটির বাঁধ।কেন্দ্রের পাঠানো হাজার হাজার কোটি টাকার নয় ছয় হয়েছে নদী বাঁধ তৈরি নামে। আর তাই বছরের পর বছর এই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।

শনিবার নামখানা ব্লকের দেবনগর দ্বারিকনগর পরিদর্শন করতে যান বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। নদীবক্ষ দিয়ে যাওয়ার পথে দুপারের বিস্তীর্ণ কাঁচাবাঁধ পরিদর্শন করেন।

বিভিন্ন এলাকায় নদী পথে নেমে বেশ কিছু এলাকা পায়ে হেঁটে নদী বাঁধের অবস্থা জানার চেষ্টা করেন সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে। নদী বাঁধ পরিদর্শনের আগে বকখালি তে গ্রামবাসীদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। নদী বাঁধ পরিদর্শনের পর দিলীপবাবু বলেন, কেন্দ্র সরকার আইলার পর থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে ।

সুন্দরবনের নদী বাঁধ নির্মাণের জন্য। সেই টাকার কোন হিসাব রাজ্য দেয়নি। ১০০ দিনের কাজের টাকায় নদী বাঁধে  মাটি না দিয়ে মাটি কাটার মেশিন দিয়ে সেই কাজ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় ১০০ দিনের কাজের টাকা মাইকে ঘোষণা করে দলীয় পার্টি অফিস থেকে সেই টাকা ভাগ হয়।

রাজ্য সরকার প্রতিবছর পাঁচ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগানোর কথা বললেও নদী বাঁধের বিস্তীর্ণ এলাকায় ম্যানগ্রোভ নেই। যদি ম্যানগ্রোভ থাকতো তাতেও কিছুটা নদীবাঁধ রক্ষা করা যেত। নদীবাঁধ রক্ষার যে চেষ্টা হচ্ছে তার সবটাই অস্থায়ীভাবে। পাকা বাঁধ নির্মাণের কোন চেষ্টাই করেনি সরকার। মানুষকে ভুগতে হচ্ছে।

নদী বাঁধের টাকা নিয়ে নেতারা নিজেদের বাড়িতে উন্নয়ন করেছে। প্রতিবছর নদী বাঁধ ভেঙে যায় আর নেতাদের উন্নয়ন হয়। কারণ নদী বাঁধ যত ভাঙবে ততই তাদের লাভ।

কেন্দ্র পাকা বাড়ির জন্য টাকা পাঠালে কোথাও এই টাকা দিয়ে পাকা বাঁধ নির্মাণ হয়নি। দিলীপ বাবুর কথার কটাক্ষ করেন রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।

সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা বলেন, রাজ্য সভাপতির পদ হারিরে মাথার ঠিক নেই তাই ভুল ভাল বলছে। আইলার কোনো টাকাই এখনো পর্যন্ত দেয়নি কেন্দ্র। আসলে সুন্দরবন বেড়াতে এসেছে সবরকম সুবিধা সঙ্গে নিয়ে ।

বেড়ানোর পাশাপাশি প্রচারের আলোয় থাকতে চেয়ে ভুলভাল বকছে । যতদূর জানি প্রতিদিন সকালে প্রাত ভ্রমণের নামে বার হয়ে এই রকম ভুলভাল বকেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × three =