দারিদ্র্যতাকে হার মানিয়ে পশ্চিমবঙ্গ হাই মাদ্রাসা বোর্ডে মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেও কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে সারিফা খাতুনের।

কুমার মাধব :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: দারিদ্র্যতাকে হার মানিয়ে পশ্চিমবঙ্গ হাই মাদ্রাসা বোর্ডে মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেও কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে সারিফা খাতুনের।স্বপ্ন হাতছানি দিয়ে ডাকলেও নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকতে পারবে কিনা,সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে তার।মালদা জেলার রতুয়া ব্লকের বটতলা হাই মাদ্রাসার ছাত্রি সারিফা খাতুন এবছর হাই মাদ্রাসা মাধ্যমিক পরিক্ষায় ৮০০ নম্বরে মধ্যে ৭৮৬ নম্বর পেয়ে রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।সোমবার ফল ঘোষণা হতেই সারিফার বাড়িতে ভিড় করেন আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা।এদিন সকাল থেকেই পরিবারের সকলের চোখ ছিল মোবাইলে।প্রতিবেশীরা সকলেই মিষ্টিমুখ করানোর পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা শুভেচ্ছা জানাতে এদিন সারিফার বাড়িতে ছুটে আসেন।সারিফা দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে প্রতি বছরই স্কুলে বিভিন্ন শ্রেণিতে প্রথম অথবা দ্বিতীয় স্থানেই থাকত।বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল মেয়ে একদিন পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করবে। মেয়ের সাফল্যে আনন্দে গর্বিত বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

সারিফার বাবা উজির হোসেন জানান,তার তিন মেয়ে ও দুই ছেলে।সারিফা ছোট মেয়ে।অভাবের সংসার।বাড়ির সামনে ঝালমুড়ি বিক্রি করে দিনে দুই থেকে তিনশ টাকা আয় করেন।

এই সামান্য আয়ে ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার খরচ ও সংসারের খরচ জোগাড় করতে হিমসিম খেতে হয় তাকে।তবে মেয়ের সাফল্যে গর্বিত বাবা উজির হোসেন।মেয়ে চিকিৎসক হতে চায় । এখন পরিবারে বড়ো চিন্তা আগামীদিনে মেয়ের পড়াশোনা চালানোর খরচ কীভাবে বহন করবেন সে।মেয়ের পড়াশোনার জন্য সরকার যদি একটু সহযোগিতা করে,তবে তাঁর মেয়ের স্বপ্ন সফল হবে।জীবনের প্রথম বড়ো পরীক্ষায় ভালো সাফল্য পেলেও আর্থিক জোগানের উপরই ভবিষ্যতের পড়াশোনা নির্ভর করছে সারিফার।

তবে বাবা উজির হোসেন আরো জানান,তার সামান্য কিছু জমিজামা ও গাছপালা রয়েছে।মেয়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রয়োজনে সেগুলি বিক্রি করে মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে একজন চিকিৎসক করাবেন।জীবনের প্রথম বড়ো পরীক্ষায় ভালো সাফল্য পেলেও আর্থিক জোগানের উপরই ভবিষ্যতের পড়াশোনা নির্ভর করছে সারিফার |

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + 17 =