ট্রেন লাইনের ধারে পড়ে থাকা একটি কাটা মুন্ডু – স্ত্রীর পরকীয়ার জন্যই এই দশা ব্যক্তির, অন্তত তেমনই মনে করছে সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ।

সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: কাকদ্বীপ :: শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখা। ট্রেন যাতায়াত করছে। ঠিক তখনই চোখে পড়ে ঘটনা। ট্রেন লাইনের ধারে পড়ে আছে একটি কাটা মুন্ডু। শিউরে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

খবর দেওয়া হয় পুলিশে। শুরু হয় তদন্ত। তদন্ত এগোতেই বোঝা যায় আসল ঘটনা। স্ত্রীর পরকীয়ার জন্যই এই দশা ব্যক্তির, অন্তত তেমনই মনে করছে সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ।

এই ঘটনাটা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ রেল ষ্টেশনে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম কার্তিক গাঙ্গুলি (৩৫)। তাঁরই কাটা মুণ্ডু উদ্ধার করেছে পুলিশ। দেহটি উদ্ধারের পর পুলিশি তদন্ত এগোতেই গ্রেফতার নিহত কার্তিকের স্ত্রী দীপালি গাঙ্গুলি, দিদি শ্যামলী মণ্ডল ও জামাইবাবু স্বপন মণ্ডল।

জেরার মুখে পড়ে তারা নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, কার্তিকবাবু নিজের স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে দিদি শ্যামলী মণ্ডল ও জামাইবাবু স্বপন মণ্ডলের সঙ্গে কাকদ্বীপে থাকেন। অভিযোগ, সেখানেই থাকতে থাকতে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে স্বপনবাবুর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

সেই বিষয়টি নজরে পড়ে যায় কার্তিকের। তখনই শুরু হয় সম্পর্কের টানাপোড়েন। এরপর বৌকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে হাওড়াতে চলে যাবেন বলে স্থির করেন। তখনই অশান্তির মাত্রা পৌঁছায় চরমে। বেঁকে বসেন স্ত্রী।

স্বপনও বাধা হয়ে দাঁড়ায়।তারপর জামাইবাবুও শ্যালক দু’জনে মিলে রেললাইনের ধারে মদ্যপান করেন। তখনই সুযোগ বুঝে শ্যালকের গলা কেটে নৃশংসভাবে খুন করে অভিযুক্ত স্বপন। দেহটি ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়। ধৃতদের রবিবার কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে।

এই বিষয়ে মৃতের আত্মীয় বলেন, ‘আমার বড় মামার দেহ উদ্ধার হয়েছে। উনি চার বছর আমাদের বাড়ি থাকত। আমিও মনে করছি আমার বাবা আমার মামাকে মেরেছে। জামাইষষ্ঠীর আগেও মামাকে হুমকি দিয়েছিল।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × three =