বেসরকারী বাসের দাপট! বালুরঘাট থেকে বন্ধ হবার মুখে সরকারী রাত্রিকালীন বাস পরিষেবা। দুশ্চিন্তায় সাধারণ মানুষ, গোপন আতাতের গন্ধ খুজছেন অনেকেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: বালুরঘাট :: সংবাদ প্রবাহ ::  বেসরকারি বাসের দাপটে বালুরঘাট থেকে প্রায় বন্ধ হবার মুখে সরকারী রাত্রিকালীন বাস পরিষেবা। দুশ্চিন্তায় সাধারণ মানুষ। ঘটনা নিয়ে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার স্থানীয় ডিপোর একাংশ কর্মীদের সাথে গোপন আঁতাতের গন্ধ পাচ্ছেন অনেকেই। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস ডিপো ইনচার্জের।উত্তরবঙ্গের অত্যন্ত প্রান্তিক ও সীমান্ত লাগোয়া জেলা হিসাবে পরিচিত দক্ষিণ দিনাজপুর।জেলার সদর শহর বালুরঘাট থেকে কলকাতা

যাতায়াতের প্রধান ভরসা বলতে আজও রয়েছে সেই বাস পরিষেবা। দুটি কলকাতাগামী ট্রেন রাতের দিকে থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। একমাস আগে থেকেই যার টিকিট শেষ হয়ে যায়। ফলে নিত্যদিনের দুর্ভোগের শিকার এজেলার সাধারণ মানুষকে হয় তৎকাল টিকিট কেটে, নয়তো বেসরকারি বাসে বেশি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। জেলা থেকে রাত্রিকালীন সিএস টি সি বাস পরিষেবা চালু থাকলেও কোন এক অজানা কারনে কয়েক বছর আগে তা বন্ধ হয়ে যায়।উত্তরবঙ্ক রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চিত্রটা বছর দুয়েক আগে ছিল একটু অন্যরকম। বালুরঘাট থেকে সরকারি এন বি এস টি সি বাস পরিষেবা ছিল রাতেও। একাধিক বাস যাতায়াত করত বালুরঘাট থেকে কলকাতায়। হঠাৎ-ই সরকারি এই রাত্রি কালীন বাস পরিষেবা কোন এক অজানা কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প “বাংলাশ্রী” বাস সার্ভিস রাজ্যজুড়ে বন্ধ হয়ে গেছে বেশকিছুদিন আগেই। যার সাথে পাল্লা দিয়ে প্রায় বন্ধের মুখে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার রাত্রিকালীন বাস পরিষেবাও। বর্তমানে সরকারি ওই বাস চলছে সপ্তাহে তিন দিন। যেখানে যাত্রার চারদিন আগে থেকে টিকিট বুক করবার বিশেষ নিয়ম জারী করেছে এন বি এস টি সি কতৃপক্ষ। এমতাবস্থায় জেলা থেকে মুমূর্ষু রোগী বা জরুরী ভিত্তিতে কারো কলকাতায় যাবার প্রয়োজন হলে চরম সমস্যায় পড়ছেন জেলার মানুষেরা। এদিকে দুয়ে চারেই জেলা থেকে ট্রেন পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার সুযোগ নিয়ে বাসের ভাড়া বাড়িয়েই চলেছে বেসরকারি বাস গুলি। ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ছাত্র-ছাত্রী সকলেই জোড়ালো দাবি তুলছেন সরকারি বাস পরিষেবা আরো উন্নত করার। রাতেও অন্ততপক্ষে গোটা দুয়েক উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার কলকাতাগামী বাস বালুরঘাট থেকে দেওয়া হোক এমন দাবি তুলেও সরব হয়েছেন অনেকেই। এদিকে সরকারী রাত্রিকালীন বাস পরিষেবা এমনভাবে বন্ধের পিছনে অনেকেই গোপন আতাতের গন্ধ খুজছেন। সঞ্জয় পাল নামে শহরের এক ব্যবসায়ী বলেন, জরুরী ভিত্তিতে কলকাতায় যাওয়ার ক্ষেত্রে এ জেলার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন। ট্রেন থাকলেও একমাস আগেই তার টিকিট বুক হয়ে যায়। বাধ্য হয়েই ততকাল টিকিট বা বেশি ভাড়া দিয়ে বেসরকারি বাসে যাতায়াত করতে হয় তাদের। অল্প পয়সায় কলকাতায় যাবার জন্য গরীব মানুষদের ভরসার সরকারী বাস এইভাবে দিনের পর দিন তুলে নেওয়ায় সমস্যা বাড়ছে সাধারণ মানুষদের।  এন বি এস টি সির বালুরঘাট ডিপোর বাসকর্মী সংগঠনের নেতা গোপাল সাহা বলেন, সাধারন মানুষের স্বার্থে রাতের বাস পরিষেবা যাতে কোনভাবেই বন্ধ না হয় সেদিকটা নিয়ে তারা ইতিমধ্যে আবেদন জানিয়েছেন।  উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বালুরঘাট ডিপো ইনচার্জ প্রশান্ত সরকার বলেন, সপ্তাহে তিনদিনের রাত্রিকালীন বাস পরিষেবাটি যাতে খুব দ্রুত প্রতিদিন করা যায় তার চেষ্টা করছেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 − five =