নিজস্ব সংবাদদাতা :: ভাঙড় :: সংবাদ প্রবাহ :: আট বছরে যা হয়নি তা হল আট ঘন্টায় । চাপের মুখে অবশেষে বাড়ি ছাড়লেন ভাঙড়ের দুই জবরদখলকারি।দখলদার হঠাতে বৃহস্পতিবার কাশীপুর থানার সামনে ধর্ণায় বসেই এক বৃদ্ধ দম্পতি।অভিযোগ এলাকার অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী কাকলি মণ্ডল ও তাঁর স্বামী সুকুমার মণ্ডল আট বছর ধরে কাশীপুরের বাসিন্দা সমীর গাঙ্গুলীর একটি বাড়ি জবরদখল করে রেখেছিলেন।সেই বাড়ি ছাড়ার জন্য বারবার অনুনয় বিনয় করলেও কাজ হয়নি।থানা পুলিশ, বিডিও অফিসে ছুটেও বিচার পাননি ওই অসহায় দম্পতি। এরপর বৃহস্পতিবার কাশীপুর থানার সামনে রাস্তায় বসে ধরনা দেন সত্তোরোর্ধ সমীর ও কল্পনা গাঙ্গুলী।তারপরই পুলিশ ওই বৃদ্ধ দম্পতির সঙ্গে কথা বলেন আশ্বাস দেন বিচার করার।ডেকে পাঠান হয় সুকুমার ও কাকলিকে। উভয় পক্ষের আলাপ আলোচনার পর সুকুমার মণ্ডল বাড়ি ছাড়তে রাজি হন । শুক্রবার ওই বাড়ি থেকে খাট, আলমারি,বিছানা সহ অন্যান্য ফার্নিচার নিয়ে যান তিনি।এতদিন পর কেন বাড়ি ছাড়লেন, পুলিশ কি কোন চাপ সৃষ্টি করেছে? সে ব্যাপারে কোন উত্তর দেননি সুকুমার। বরং তার ‘কীর্তি’ নিয়ে খবর করায় সংবাদ মাধ্যমকেও গালাগালি দেন তিনি।এই ঘটনায় খুশি বৃদ্ধ দম্পতি।কল্পনা গাঙ্গুলী বলেন, কাকলি নিজে একজন শিক্ষকা।কীভাবে অন্যের বাড়ি জবর দখল করে থাকেন।উনি ঠিকমত অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে যাননা । ছোটদের জন্য বরাদ্দ চাল ,ডাল চুরি করেন।এবার এটা নিয়ে প্রশাসন তদন্ত করুক।