অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধের দাবিতে স্থানীয়দের বিক্ষোভ।

সুব্রত বাউরী :: অন্ডাল :: পশ্চিম বর্ধমান :: অন্ডাল :: সংবাদ প্রবাহ :: অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধে প্রশাসন যাই বলুক, কিন্তু বর্তমান চিত্র হচ্ছে নির্বিচারে অবৈধ বালু উত্তোলন চলছে। অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে শুধু নদীর অস্তিত্বই নষ্ট হচ্ছে না, রাজস্বেরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এ ছাড়া অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের আতঙ্কে নদী তীরবর্তী গ্রামের লোকজন আশংকা করছেন।এভাবে বালি উত্তোলন চলতে থাকলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে তাদের গ্রাম নদীতে তলিয়ে যেতে পারে। অন্ডাল থানার অন্তর্গত মদনপুর গ্রামের গ্রামবাসীরা বেআইনি বালি উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।অন্ডাল থানা ও ব্লক আধিকারিকের কাছে বেআইনি বালি তোলার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা এবং বেআইনি বালি ব্যবসা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।

গ্রামবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে আসেন অন্ডাল পুলিশ আধিকারিকরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মদনপুর ঘাটে পৌঁছান অন্ডাল থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক শান্তনু অধিকারী ও অন্ডালের সমস্টি উন্নয়ন আধিকারিক। অফিসাররা সাধারণ তদন্ত শেষে ফিরে আসেন। তবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেবে তা নিয়ে এলাকার বাসিন্দারা বিভ্রান্ত আছেন।মদনপুর গ্রামের বাসিন্দা রাজেশ বাউরী ও জয়ন্ত মিশ্র জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় অবৈধভাবে বালি উত্তোলন চলছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, প্রশাসনও এ ব্যাপারে কোনো দৃঢ় পদক্ষেপ নিচ্ছে না, যার কারণে এ ধরনের মানুষের মনোবল বাড়ছে। আগে শুধু নদীতেই বালি তোলা হতো ,এখন গ্রামের খুব কাছ থেকে বালি তুলে নিয়ে যাচ্ছে বালি মাফিয়ারা। এ কারণে শ্মশান ও শ্মশান কালী মন্দিরও ভেঙে পড়ার পথে। তিনি আরও জানান, কোনো যন্ত্র ব্যবহার করে বালি উত্তোলন করা যাবে না, শুধু শ্রমিক দিয়ে বালি উত্তোলনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বালি ব্যবসায়ীরা বড় বড় মেশিন দিয়ে প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালি তুলে নিয়ে যাচ্ছে । বালি ঘাটে নির্বিচারে পাম্প ও জেসিবি মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। সোমবার স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করলে ঐ রাতেই আবার বালু উত্তোলনের কাজ শুরু হয়। গ্রামবাসীরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগের পর মঙ্গলবার বালি ঘাটে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেন প্রশাসন। “আধিকারিকরা তদন্তে আসার তথ্য কীভাবে তথ্য মাফিয়াদের কাছে পৌঁছেছিল তা আমরা জানি না। যার কারণে বালি ঘাট থেকে মেশিনগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন দেখার বিষয় এই অভিযোগের সত্ত্বেও প্রশাসন এই ধরনের মাফিয়ার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় নাকি ধৃতরাষ্ট্রের ভূমিকা পালন করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × three =