সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ : ভাঙড় :: চিকিৎসার অভাবে শিকল বন্দী হয়ে জীবন কাটাচ্ছে সাগরের মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবক। পরিবারের চরম আর্থিক অনটন । তাই অর্থের অভাবে যুবকের চিকিৎসা করাতে পারছেনা পরিবারের সদস্যরা ।
কার্যত বাধ্য হয়েই তাই শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে হচ্ছে ওই যুবককে। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর বিধানসভার অন্তর্গত মুড়িগঙ্গা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কশতলা গ্রামের ।
পরিবারের হাল ফেরাতে খুব কম বয়সে কাজের জন্য ভিন্ রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিল রবীন্দ্রনাথ । তার উপার্জনে ধীরে ধীরে স্বচ্ছল হয় বেরা পরিবার। এরপর দেশে হানা দেয় করোনা মহামারী। করোনা মহামারীর জেরে কাজ হারিয়ে বাড়ি ফিরে আসে রবীন্দ্রনাথ।
ধীরে ধীরে মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করে। কিছুদিনের মধ্যে অসুস্থ হতে শুরু করে ।দিনমজুর পরিবারের আর্থিক সমর্থ্য ছিলনা ঠিকঠাক চিকিৎসা করানোর জন্য। এরপর ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা রবীন্দ্রনাথ । বর্তমানে অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেনা পরিবারের লোকজনের ।
পরিবারের লোকজনের চোখের আড়ালে যদি কোথাও চলে যায় সেই ভয়ে বাধ্য হয়েই বাড়িতে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছে ছেলেকে ।
তার উপর প্রতিবেশীদেরও মাঝে মাঝে উত্তপ্ত করছে। কোথায় কখন বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে পারে তাই কার্যত বাধ্য হয়েই বেঁধে রাখতে হয়েছে। সরকারি সাহায্য পেলে স্বাভাবিক জীবন সে ফিরে পাবে। সাগরের ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক সুদীপ্ত মণ্ডল জানান, বিষয়টি খোঁজখবর নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ।
পরিবারের লোকজন স্থানীয় পঞ্চায়েত ও বি ডি ও অফিসে যোগাযোগ করেনি। সংবাদ মাধ্যমের লোকজনের মাধ্যমে বিষয়টি জানলাম। পরিবারের সঙ্গে কথা বলছি । পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে কথা বলছি । খুব দ্রুত ওই যুবকের সরকারি সাহায্যের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হবে ।