দুই বিবাহিত মহিলাকে এক সঙ্গে মন্দিরে বিজেপি নেতাকে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ! পুলিশী নিষ্ক্রিয়তায় উত্তপ্ত খেজুরি

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: খেজুরি :: গ্রামের দুই বিবাহিত মহিলাকে এক বিজেপি নেতার সঙ্গে একসঙ্গে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরি বাঁশগোড়া এলাকায়।

এলাকার গ্রামবাসী তথা তৃণমূল নেতাদের স্থানীয় একটি মন্দিরে দুই মহিলাকে একসঙ্গে বিজেপি নেতা মানস কামিলাকে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গ্রামবাসী থেকে স্থানীয় তৃনমূল নেতার বিরুদ্ধে।

পাল্টা মহিলাদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে কতিপয় যুবকের বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ঘটনার প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতন এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিজেপি নেত্বয়রা।

জানাগেছে, খেজুরি দেখালি বাজারে সোনা দোকান রয়েছে বিজেপি নেতা মানস কামিলার । তিনি আবার বিজেপির খেজুরির কৃষাণ মোর্চারও সভাপতি। গত ৩০ শে জুন দুই মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় গ্রামবাসীরা ধরে ফেলে মানস কামিলাকে বলে গ্রামবাসীদের দাবি।

পরের দিন সকালে একটি মন্দিরে পুরোহিত ডেকে বাজনা বাজিয়ে মানস কামিলার সঙ্গে দুটি মহিলার বিবাহ দেন গ্রামবাসীরা বলে অভিযোগ। এরপর তাদের সারা গ্রাম ঘোরানো হয় বলে অভিযোগ। বাজি ফাটিয়ে গ্রামের মানুষদের মিষ্টি বিলি করা হয়।

এই ঘটনার পর পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন দুই মহিলা সহ বিজেপি নেতা মানস কামিলা । পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর পর কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। তদন্তের জন্য আদালতের দারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন দুই মহিলা সহ মানস কামিলা।

বিজেপি নেতা মানস কামিলা বলেন ” আমি বিজেপি নেতা। খেজুরি দেখালি বাজারে ২০ বছরের ধরে সোনার দোকান রয়েছে। এখানকার কিছু দুষ্কৃতির দীর্ঘদিন ধরে আমার পেছনে লেগেছিল। আমি আজকে বাড়িতে নিমন্ত্রণ করার জন্য গেলে ১০-১৫ জন আমাকে ঘিরে ধরে।

আমার কাছ থেকে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও সোনার আংটি কেড়ে নেয়। সারারাত আমাদেরকে মারধর করে। পরেরদিন সকালে গ্রামের মন্দিরে দুই মহিলার সঙ্গে বিবাহ দেন “।

নির্যাতিত এক মহিলা বলেন ” জোর করে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায়। তারপর আমাকে উলঙ্গ করে মানস কামিলার সঙ্গে বিয়ে দেয়। বিয়ে দেওয়ার পর রিক্সা করে সারা গ্রাম ঘোরায়।

গ্রামের লোকজন চলে আসতেই আমাদের ছেড়ে দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। এরপর আবার তমলুক হাসপাতালে চিকিৎসা হয়। তারপরে বাড়ী ফিরি “।

যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্বরা। হলুদবাড়ি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আলাপন দাস বলেন ” বিষয়টি শুনেছি ।এখানে কোন রাজনৈতিক রঙ নেই।

গ্রামবাসীদের বিষয়। এটা অবৈধ সম্পর্ক। গত তিন বছর ধরে এরা সম্পর্কে লিপ্ত ছিল। এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারব না “।

খেজুরি বিজেপি নেতা তথা কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার দলাই বলেন ” মানস কামিলা আমাদেরই দলের কর্মী। বিষয়টি শুনেছি। সারা রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস জঙ্গলরাজ শুরু করেছে। খেজুরিও তার ব্যতিক্রম নয় “।

পুলিশ নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন পুলিশ সুপার। কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেন ” বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে । তবে সবাই বিবাহিত বলে জানা গেছে। অভিযোগ পেলে সঠিক তদন্ত করে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে “।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen + 12 =