কুমার মাধব :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: প্রসূতি কিংবা জরুরী অবস্থা রোগীদের নিয়ে ছুটতে হত পাঁচ কিমি দূরের হাসপাতালে।যার জেরে দীর্ঘ সময়ের পাশাপাশি নাকাল হতেন রোগীরা।ছয়টি গ্রামের প্রায় ছয় হাজার পরিবারকে হাতের নাগালে সুষ্ঠ স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে চালু হল উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের।বৃহস্পতিবার ফিতে কেটে সেই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দ্বারোৎঘাটন করলেন মালদা জেলা ও চাঁচল-১ নং ব্লক স্বাস্থ্য দফতর।চাঁচল-১ নং ব্লকের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের ইসলামপুর গ্রামে ফিতে কেটে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির সূচনা করেন চাঁচল-১ নং ব্লকের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য্য ও চাঁচল-১ নং ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আখতার হোসেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চাঁচল সুপার স্পেশাল্যাটি হাসপাতালের নোডাল অফিসার শুভাশিষ বড়ুয়া,চাঁচল-১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ওবাইদুল্লাহ আহমেদ চৌধুরী এবং চাঁচল-১ নং পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সাহাজান আলম সহ প্রমুখরা।আপাতত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেই চলবে পরিষেবা।তবে পাশেই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণের জন্য স্বেচ্ছায় পাঁচ শতক জমি দান করেছেন ইসলামপুরের হাজী জালালুদ্দিন আহামদ।বিডিও জানান,অনুমোদন মিললে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিধি বৃদ্ধির জন্য ভবন নির্মাণ করা হবে।
জরুরি অবস্থায় রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি ওই কেন্দ্রে করোনার টিকা,পোলিও ও প্রসূতিদের টিকা।এমনটাই জানিয়েছেন ব্লক স্বাস্থ্য দফতর। উল্লেখ্য,গত ২০১৭ সালে মহানন্দা নদী সংলগ্ন ওই এলাকা বন্যার জলে প্লাবিত হয়।
সেই সময় সেখানকার প্রায় ছয় হাজার মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসা পেতে নাকাল হয়।এবং হাতের নাগালেই পাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা।স্বভাবতই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র পেয়ে খুশি এলাকার মানুষ।