কুমার মাধব :: মালদহ :: সংবাদ প্রবাহ :: পুকুর খনন, শ্মশান সংস্কারসহ একাধিক প্রকল্পে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে। মালদার গাজোল ব্লকের দেওতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের।
অভিযোগ অস্বীকার পঞ্চায়েত প্রধানের। ১০০ দিনের প্রকল্পে রাজ্য জুড়ে দুর্নীতি চলছে কটাক্ষ বিজেপির। কেউ আইন বিরুদ্ধ কাজ করলে দল পাশে দাঁড়াবে না প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে জানিয়েছেন মালদার জেলাশাসক।
মালদার গাজোল ব্লকের দেওতলা গ্রাম পঞ্চায়েত এর বিরুদ্ধে এবারে ১০০ দিনের প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোরদীঘি গ্রামে পুকুর খনন ও শ্মশান সংস্কারের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং পঞ্চায়েত কর্মীদের একাংশ এই টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ। জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। দানিয়াল হোসেন নামে এক উপভোক্তা বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তার জমিতে পুকুর খননের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়।
কিন্তু এক কোদাল মাটি না কেটেও টাকা তুলে নিয়েছে পঞ্চায়েত প্রধান সহ অন্যান্য ব্যক্তিরা। এমনকি শ্মশান সংস্কারের নামেও টাকা তোলা হয়েছে। এক কোদাল মাটি না কেটে পুরো টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে তার অভিযোগ।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান সুলতানা রাজিয়া। তার দাবি কাজ হয়েছে। কোথাও কোনো সমস্যা হয়ে থাকলে বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরেই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদা জেলা শাসক নিতিন সিংহানিয়া।
আর এই অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে তৃণমূল – বিজেপি চাপানউতোর। দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ীর অভিযোগ, ১০০ দিনের প্রকল্পে গোটা রাজ্য দূরে দুর্নীতি চলছে। যারা এই ধরনের ঘটনায় যুক্ত দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
এই বিষয়ে গাজোল ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মানিক প্রসাদ বলেন, দল কাউকে দুর্নীতি করার অনুমতি দেয় না। কেউ দুর্নীতি করলে তার দায়ভার তাকেই ব্যক্তিগতভাবে নিতে হবে। দল পাশে দাঁড়াবে না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।