আবারও সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলমগ্ন, এলাকা পরিদর্শন করতে গেলে মন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: সাগর :: একে পূর্ণিমার কটাল, তার সঙ্গে যোগ দিয়েছে বৃষ্টি। তার জেরে প্লাবিত সুন্দরবন এবং উপকূল এলাকার বেশ কয়েকটি এলাকা। নদী এবং সমুদ্রে জলস্ফীতির কারণে বাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছে কিছু এলাকায়।

আবার জলস্ফীতির জেরে বাঁধ উপচে জল ঢুকে প্লাবিত কিছু জায়গা। বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। পাশাপাশি নজর রাখা হচ্ছে পরিস্থিতির উপরেও। সমুদ্রের কোটালে নোনা জলে জলমগ্ন কপিলমুনি মন্দির। বৃহস্পতিবার সাগরদ্বীপের বঙ্কিমনগর এক নম্বর কলোনির কাছে প্রায় ২০০ মিটার নদী বাঁধ তলিয়ে গিয়েছে নদীগর্ভে।শুক্রবার বঙ্কিম নগরে ভাঙ্গন কাকলিত এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের সম্মুখীন হয় সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। মন্ত্রীকে দেখে  ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর থেকেই বঙ্কিমনগরের নদী বাঁধে বেহাল অবস্থা হয়ে পড়েছিল।

কাঁচামাটির বাঁধ থাকার কারণে স্থানীয়দের অনুমান ছিল যে বড়সড়ো প্রাকৃতিক বিপর্যয় ভেঙে পড়বে নদী বাঁধ। বৃহস্পতিবার পূর্ণিমার ভরা কটাল যেন আশঙ্কা সত্যি হলে করে দিয়েছে।

মুড়িগঙ্গা নদীর ঢেউয়ের তোড়ে নদী বাঁধ ভেঙে হু করে নোনা জল ঢুকতে থাকে এলাকায়। নোনা জলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চাষের জমি। একই ছবি মহিষমারি এলাকাতেও নদী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বোটখালি এলাকায় মুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধ উপচে নোনা জল ঢুকতে শুরু করে এলাকায়।

হুগলি নদীর জোয়ারের জলে ডায়মন্ড হারবার কেল্লার মাঠ সংলগ্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।এছাড়াও রায়দিঘি, গোসাবা, পাথরপ্রতিমা সহ সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ নদী তীরবর্তী এলাকা গুলিতে কোটালের জোয়ারে জলে প্লাবিত হয়েছে। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী তথা সাগরের বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা জানান, পরিস্থিতির উপর নজর ছিল। বড়সড় কোন ক্ষতি হয়নি।

যেখানে যেখানে বাঁধ ধসেছে সেখানে মেরামতির কাজ চলছে। আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। মৌসুনি, ঘোড়ামারাদ্বীপ এবং ভাঙন কবলিত এলাকাতেও বাড়তি নজর রাখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 + one =