নিজস্ব সংবাদদাতা :: নদীয়া :: হরিণঘাটা :: সংবাদ প্রবাহ :: নাবালক প্রেমিককে বাড়িতে ডেকে নিয়ে বাবা এবং তার বন্ধুদের দিয়ে বেধড়ক মার । মারের আঘাতে মুখ দিয়ে রক্ত উঠে চার দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর মৃত্যু প্রেমিকের। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার হরিণঘাটা থানা এলাকায়। জানা যায় নদীয়ার হরিণঘাটা নতুন পাড়া এলাকার বাসিন্দা পাপাই সরকার। বয়স আনুমানিক ১৬ বছর। হরিণঘাটা থানা এলাকার তেতুলতলা এলাকার বাসিন্দা কবিতা সাঁতরার সঙ্গে প্রায় ছয় মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরিবার সূত্রে জানা যায় গত 11 তারিখে প্রেমিকা কবিতা সাঁতরা তাকে ফোন করে নিজের বাড়িতে ডাকে। প্রেমিকার তাকে সে বাড়িতে বলেই কবিতার বাড়ি রওনা হয়। এরপর এই সেই রাতে পাপাই সরকারকে একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে কবিতার বাবা এবং তার বেশ কয়েকজন সঙ্গী গোটা শরীরে বেধরক মারধর করে। পরের দিন সকালে অচৈতন্য অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কল্যাণী জিএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে কলকাতা স্থানান্তরিত করে চিকিৎসকরা। এরপরেই গতকাল বাড়িতে ফিরে আবার নতুন করে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কল্যাণী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।পরিবারের দাবি প্রথমে ভয়ে মারধরের কথা স্বীকার করেনি পাপাই। পরিবারের কাছে সে সব কথা স্বীকার করে। পুরো ঘটনা লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় হরিণঘাটা থানায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত প্রেমিকা কবিতা সাতরা এবং তার বাবাকে গ্রেফতার করেছে হরিণঘাটা থানার পুলিশ। পাশাপাশি কি ঘটনা ঘটেছিল এবং ঐদিন রাতে অভিযুক্তদের সঙ্গে আর কে কে ছিল তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এই ঘটনাটি রীতিমতো শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।