নিজস্ব সংবাদদাতা :: দীঘা :: সংবাদ প্রবাহ :: বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের টিউশান পড়ানোর দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো পড়ুয়ারা। অবরোধের জেরে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। সোমবার সকালে প্রায় শতাধিক স্কুলপড়ুয়া বেশি দিঘা নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়কের দিঘা বিদ্যাভবনের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। দীর্ঘক্ষন স্কুল পড়ুয়াদের বিক্ষোভের ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে দিঘা মোহনা থানার ওসি অমিত দেবে’র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ তারপরেই অবরোধ তুলে দেয় পড়ুয়ারা৷ যদিও পড়ুয়াদের অবরোধে পাশে নেই প্রধান শিক্ষক। ঘটনার সূত্রপাত, রাজ্য সরকার নির্দেশ জারি করেছে কোন স্কুল শিক্ষক টিউশন পড়াতে পারবেন না৷ এই নির্দেশ অমান্য করলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ সরকারি নির্দেশ জারি হওয়ার পরই সৈকত নগরীর দিঘা বেশ কয়েকটি স্কুলের শিক্ষক টিউশান পড়ানো বন্ধ করে দেয়। সমস্যায় পড়েন স্কুল পড়ুয়ারা। স্কুলপড়ুয়াদের তাদের দাবি, সামনে পরীক্ষা রয়েছে। যদি শিক্ষক টিউশান পড়ানোর বন্ধ করে দেয় যারা পরীক্ষায় ফেল করে যাবেন। রাজ্য সরকারের এই নির্দেশের প্রতিবাদে রাস্তায় নামে স্কুল পড়ুয়ারা।
সোমবার সকালে দিঘা ৪/৫ পাঁচটি স্কুলের প্রায় শতাধিক পড়ুয়া দিঘা বিদ্যাভবনের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। রাস্তার উপর বসে পড়লেন স্কুল পড়ুয়ারা। এর ফলে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে দিঘা মোহনা থানার পুলিশ৷ কিছুক্ষণের মধ্যে অবরোধ তুলে দেয়৷ তারপরেই যান চলাচল স্বাভাবিক করে পুলিশ।
অবরোধকারী এক স্কুলপড়ুয়ার দাবি রাজ্য সরকারে এই নির্দেশ পত্যাহার করতে হবে। তাদের সামনে পরীক্ষা রয়েছে। তাদের সিলোবাস সুপন্ন হয়নি। এই বছরটা ছেড়ে দিতে হবে ।দিঘা বিদ্যাভবন স্কুলের প্রধান শিক্ষক শুভেন্দু করণ বলেন ” ছাত্ররা স্কুলে আসেনি। আমি এসে পৌঁছানোর আগে দেখি রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তখনই পৌঁছে গেছে সাংবাদিক থেকে থানার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ছাত্রদের হাতে প্লাকর্ডে লেখা ছিল সেটা ছাত্রদের মস্তিষ্ক প্রসূত নয়। ছাত্রদের অভিভাবকরাও অবরোধ সম্পর্কে জানেন না। পুলিশ তদন্ত করছে। কারা এর পেছনে রয়েছে৷ রাজ্য সরকারের নির্দেশ পাওয়ার পরই সমস্ত শিক্ষকদের এই নির্দেশ জারি করেছিলাম।