নিজস্ব সংবাদদাতা :: বীরভূম :: নানুর :: সংবাদ প্রবাহ :: আজ সূচপুর দিবস। ২০০০ সালে এই দিনেই নানুরের বাসাপাড়ায় ১১ জন ক্ষেতমজুরকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল। নিহতরা সকলে দলীয় সদস্য দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নেমেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রতি বছর এই দিনে শহিদ দিবস পালন করে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। এবারেও তার ব্যতিক্রম ছিল না। তবে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল প্রতি বছর উপস্থিত থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারনে এবছর উপস্থিত হননি। এই দিনটি মূলত শোকদিবস হলেও নানুর তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এক বিশেষ উদ্দীপনা দেখা যায়। নিহত ১১ জনের শহিদবেদিতে মাল্যদান করে -কোরাণ পাঠ করে শহিদ-তর্পণ করেন জেলা তৃণমূল নেতৃবৃন্দ। এদিন সকাল থেকেই নানুরে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যস্ততা তুঙ্গে।বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান বলেন, “আজকের শহিদ দিবসে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধায়ক তথা বীরভূম জেলা পরিষদ এর মেন্টর অভিজিৎ সিংহ, কাজল শেখ সহ স্থানীয় নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত তৃণমূল সুপ্রিমো তথা তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটা করে সূচপুর দিবস পালন শুরু করেন।
যার পোশাকি নাম নানুর গণহত্যা দিবস। ২০০০ সালে ১১ জনকে হত্যার পরই সোজা দিল্লি থেকে নানুরে ছুটে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর প্রতি বছর এই দিনে নানুরে এসে শহিদ-তর্পণ করতেন তিনি। কিন্তু রাজ্যে সরকারে পালাবদলের দু-বছর আগে থেকেই তিনি আর এই শহিদ দিবসে আসেন না। ২০০৯ সালে শেষবার এসেছিলেন তিনি। যা নিয়ে সমালোচকদের মন্তব্য, সহানুভূতি আদায় করার পর থেকে আর আসেন না। তবে তৃণমূল সুপ্রিমো না এলেও ফিরহাদ হাকিম সহ রাজ্য ও জেলা তৃণমূলের শীর্ষ স্তরের নেতৃত্ব শহিদ দিবস পালন করতেন। উপস্থিত থাকতেন অনুব্রত মণ্ডলও। কিন্তু এবারের শহীদ দিবস একেবারে ক্ষীণ! ফলে আরও ভ্রু কুঁচকেছেন সমালোচক থেকে বিরোধীরা।