নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: জোকা ইএসআই-তে নাটক। হাপুস কান্না অর্পিতার। শুক্রবার ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জোকা ইএসআই-তে নিয়ে যাওয়ার পর, সেখানেই কেঁদে ভাসালেন অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়। গাড়ির মধ্যেই কাঁদতে শুরু করেন অর্পিতা। ফলে জোকা ইএসআই-তে পৌঁছনোর পর, তাঁকে গাড়ি থেকে নামতে বেশ বেগ পেতে হয় নিরাপত্তারক্ষীদের।
গাড়ি থেকে নামানোর সময় অর্পিতা কাঁদতে কাঁদতে প্রায় লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। কোনওরকমে তাঁকে টেনে তুলে হুইলচেয়ারে বসানো হয়। হুইলচেয়ারে বসিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময়ও হাত-পা ছুঁড়ে কাঁদতে দেখা যায় অর্পিতাকে। ক্যামেরাবন্দি হয়েছে সেই দৃশ্য।
প্রসঙ্গত, এর আগে বুধবার রাতেও ইডি লক-আপে কাঁদেন অর্পিতা। ইডি সূত্রে খবর, লক-আপে দুবার কেঁদে ফেলেন অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়। মা ও দাদুর কথা বারবার বলতে শোনা যায় তাঁকে। মা ও দাদুর সঙ্গে কথা বলতেও চান অর্পিতা। ভাঙবেন তবু মচকাবেন না! এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়কে জেরা করতে গিয়ে অনেকটা এমনই অভিজ্ঞতা ইডির আধিকারিকদের।
ইডি সূত্রে খবর, টেনশনে আছেন অর্পিতা। এদিনও বেশ খানিকটা বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল তাঁকে। তবে সারদা কেলেঙ্কারিতে ধৃত দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের থেকে মানসিকভাবে বেশ খানিকটা শক্তপোক্ত অর্পিতা। এমনই মনে করছেন তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, এর আগে জেরা চলাকালীন ইডির তদন্তকারীদের কাছে চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফিরও আবদার করেছেন অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়।
সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সের সাত তলায় ইডির দফতর। সেখানেই একই ছাদের তলায় এখন ঠাঁই হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যোয় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। অভিযুক্তকে জেরা চলছিল। তখনই ঘটে অবাক করা ঘটনা। ইডির তদন্তকারীদের কাছে আচমকা ব্ল্যাক কফির আবদার করেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তাও আবার চিনি ছাড়া। অভিযুক্তের এহেন আবদার শুনে খানিক ভিরমি খাওয়ার জোগাড় হয় তদন্তকারীদের।
জেরার মাঝে ব্ল্যাক কফি? শেষে অবশ্য পার্থ-ঘনিষ্ঠ মডেল-অভিনেত্রীকে সুগার ফ্রি এক কাপ ব্ল্যাক কফি দেওয়া হয়। তারপর চলে ম্যারাথন জেরা। উল্লেখ্য, ইডির বিশেষ আদালত পার্থ এবং অর্পিতাকে ৩ অগাস্ট পর্যন্ত হেফাজতের রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৩ জুলাই গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেদিন বিকালেই গ্রেফতার করা হয় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া মোট নগদের পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি। সোনা উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫ কোটি মূল্যের। বৈদেশিক মুদ্রা ৫৮ লাখ টাকার। এছাড়াও প্রচুরও নামে-বেনামে জমি, ফ্ল্যাট, বাগানবাড়ি, কোম্পানিরও হদিশ মিলেছে।