কুমার মাধব :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: বিজেপি কি এরাজ্যেও সরকার ভাঙার চক্রান্ত করতে পারে?- এই প্রশ্নের উত্তরে সূর্যকান্তের জবাব,- বিজেপি এখানে সরকার ভাঙলে তৃণমূলকে নিয়েই সরকার ভাঙবে। বিজেপি আর হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের মধ্যে শেয়ার ভাগাভাগি না হলে সরকার ভাঙবে না।
সরকার ভাঙলে সেখানে হরিশ চ্যাটার্জি স্টিট আর বিজেপির শেয়ার কি তা বুঝতে হবে। যদি সরকার ভাঙে বুঝতে হবে এদের মধ্যে ব্যালেন্স কি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়রা উপলক্ষ মাত্র, মত সূর্যকান্তের।
জেলা ভাগ নিয়ে বিস্ফোরক সূর্যকান্ত মিশ্র। টাকার ভাগাভাগি থেকে নজর ঘোরাতেই জেলা ভাগ, দাবি সূর্যকান্তের। ক্যাবিনেট মেমো ছাড়াই জেলা ঘোষণা করা হয়েছে। নিয়ম-নীতি মানা হয়নি। আদালতের সঙ্গেও পরামর্শ করা হয়নি। এতগুলি নতুন জেলা ভাগ হলে আর্থিক বিষয় কি হবে তা স্পষ্ট নয়।
বিধানসভাতেও এনিয়ে আলোচনা হয়নি। সাংবাদিক বৈঠকে নতুন জেলার নাম ঘোষণা হচ্ছে। নতুন জেলার নাম নিয়ে মানুষের আবেগ, সেন্টিমেন্ট থাকে। তাকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই নতুন জেলা ঘোষণা করা হয়েছে নজর ঘোরাতেই। এনিয়ে তিনি টুইট-ও করেছেন বলে জানান সূর্যকান্ত।
ইডি, সি বি আই- এর মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে কেন্দ্রীয় সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে বলে এদিন সরব হন সূর্যকান্ত। তিনি বলেন, যাকে তাকে, যখন তখন গ্রেফতার করা হচ্ছে। দল ভাঙানোর জন্য, ভয় দেখানোর জন্যও কেন্দ্রীয় এজেন্সির ব্যবহার হচ্ছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকারকে অনৈতিকভাবে ভাঙা হচ্ছে। এমএলএ দেরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সিপিএম- এর বিরুদ্ধে।তবে এরাজ্যে এই মুহূর্তে ইডি ও সিবিআই যে তদন্ত করছে তা উচ্চআদালতের মনিটরিং-এ হচ্ছে। তাই এক্ষেত্র আলাদা বলে মত সূর্যকান্তের। ইডি ও সিবিআই এরাজ্যে কি তদন্ত হচ্ছে তা কোর্টকে নির্দিষ্টভাবে জানাতে হবে। কোর্ট মনিটরিং-এ তদন্ত সুনিশ্চিত হলে ঠিক আছে, বলেন সূর্যকান্ত।
এরাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বন্ধ নিয়ে সূর্যকান্ত বলেন, সবরাজ্যে ১০০ দিনের টাকা বন্ধ হয়নি। অন্যান্য অবিজেপি রাজ্যেও টাকা বন্ধ হয়নি। এই রাজ্য যেসব সম্পদের তালিকা বলেছে, বাস্তবে সেগুলির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বহু জায়গায় পুকুর চুরি হয়েছে। এজন্য কেন্দ্রীয় টিম বিভিন্ন জেলায় ঘুরছে