নিজস্ব সংবাদদাতা :: বালুরঘাট :: সংবাদ প্রবাহ :: জঙ্গলে ভর্তি স্কুল ক্যাম্পাস । শ্রেণী কক্ষে ঢুকে বিষধর কালাচের ছোবল খুদে পড়ুয়াকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি বালুরঘাটের টেকনো ইন্ডিয়া স্কুলের। ঘটনাকে ঘিরে আতঙ্কের পরিবেশ স্কুল চত্বরে। অবিলম্বে বিদ্যালয় পরিস্কারের দাবী জানিয়ে প্রিন্সিপালকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ অভিভাবকদের। দেওয়া হয় ডেপুটেশনও। সোমবার এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে স্কুল চত্বরে। আগামী দশদিন নার্সারি বিভাগের পড়ুয়াদের স্কুলে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন অভিভাবকরা।জানাগেছে, বিদ্যালয়ের নার্সারি বিভাগের ছাত্রী দৃশি কুন্ডু শুক্রবার স্কুলের ডেস্ক খুলবার সময় হাতে কিছুর খোচা লাগে। যা দেখে আলপিন ফুটেছে এমনটা অনুমান করে স্কুলের তরফে কিছু ওষুধ লাগিয়ে দেওয়া হয়। যদিও তেমনভাবে বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়নি স্কুল কতৃপক্ষের তরফে। এরপর বাড়িতে পৌছাতেই পরিবারের লোকেরা তড়িঘড়ি শিশুটিকে নিয়ে যান চিকিৎসকের কাছে। যেখানেই সামনে আসে সাপের কামড় দেবার বিষয়টি। চিকিৎসক জানান, বিষধর কালাচের ছোবল পড়েছে তার হাতে। এরপরেই হাসপাতালে ভর্তি করে অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করেন চিকিৎসক। আর যাতেই সুস্থ হয় শিশুটি।
সোমবার এই ঘটনা জানাজানি হতেই তুমুল আতঙ্ক তৈরি হয় স্কুল চত্বরে। এদিকে স্কুলের ডেস্কের ভেতরে কিভাবে কালাচ সাপ এল সেই প্রশ্ন তুলে এদিন সরব হন অভিভাবকেরা। স্কুল ক্যাম্পাস জঙ্গলে পরিপুর্ন হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে প্রিন্সিপাল কে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা। তাদের দাবি অবিলম্বে জঙ্গল পরিস্কার সহ নার্সারি বিভাগ কে অন্যত্র স্থানান্তর করতে হবে। এদিন একাধিক দাবি নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ ও জমা দিয়েছেন অভিভাবকেরা। যদিও দশ দিনের সময় সীমা বেধে দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছেন টেকনো ইন্ডিয়া স্কুলের প্রিন্সিপাল।
জয়শ্রী সাহা ও বিশ্বরুপ চক্রবর্তী নামে দুই অভিভাবক জানান, স্কুলের ভিতর একটি বাচ্চাকে কালাচ সাপ কামড় দিয়েছে। যা ডেস্কের ভিতরে ছিল। এই ঘটনা জানবার পর থেকেই তারা যথেষ্ট আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন। স্কুলের চারপাশ জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। সঠিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবেই সাপের বাসা হয়ে উঠছে স্কুল চত্বর।
প্রিন্সিপাল দশদিন সময় চেয়ে নিয়েছেন স্কুল চত্তর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করবার জন্য। তার আগে কেউ তাদের বাচ্চাদের স্কুলে না পাঠাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রিন্সিপাল এস পি সিনহা জানিয়েছেন, চিকিৎসক বলেছে শিশুটিকে কালাচ সাপ কামড় দিয়েছে। তিনি দেখতেও গিয়েছিলেন। বর্তমানে শিশুটি সুস্থ রয়েছে। তবে এই ঘটনা যেন আর না ঘটে তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।