খুব শিগগিরই নতুন জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ হতে চলেছে সুন্দরবন, খুশি সুন্দরবনবাসী ।

সুদেষ্ণা মন্ডল :: সুন্দরবন :: সংবাদ প্রবাহ :: সোমবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে নতুন ৭টি জেলার নাম। আগামী ছয় মাসের মধ্যে রাজ্যের এই ৭টি জেলার যাবতীয় প্রশাসনিক কাজ সুসম্পন্ন হবে। এমনটাই আশা জাগিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে আন্দোলন ও বিক্ষোভ। কিন্তু দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা ভেঙে নতুন সুন্দরবন জেলা বিভাজন করাতে আনন্দিত সুন্দরবনের প্রত্যন্ত দ্বীপ এলাকার মানুষেরা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা ভেঙে হবে সুন্দরবন জেলা। ইতিমধ্যে সুন্দরবন পুলিশ জেলা বিভাজন হয়েছে। এর জেলা সদর হতে চলেছে কাকদ্বীপ।রাজ্যে আরও ৭টি নতুন জেলা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান দক্ষিণবঙ্গের ৩টি জেলা ভেঙে হবে এই ৭টি জেলা। এর ফলে রাজ্যে জেলার সংখ্যা বেড়ে হবে ৩০।এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা ভেঙে হবে সুন্দরবন জেলা। ইতিমধ্যে সুন্দরবন পুলিশ জেলা বিভাজন হয়েছে। এর জেলা সদর হতে চলেছে কাকদ্বীপ। সুন্দরবন জেলা কাকদ্বীপ মহকুমার ও ক্যানিং মহকুমার , বারুইপুর মহকুমার ,ডায়মন্ড হারবার মহকুমার নিয়ে গঠিত হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা ভেঙে নতুন সুন্দরবন জেলা নাম ঘোষনার পর থেকেই আনন্দিত প্রত্যন্ত দ্বীপ এলাকার মানুষের। প্রত্যন্ত এলাকার মানুষেরা মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে। এলাকাবাসীরা বলেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সদর দপ্তর কলকাতার আলিপুরে সেখানে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার সমস্যা নিয়ে গেলে যাওয়া আশাতে কমপক্ষে ১দিনের সময় লাগে। সুন্দরবন নতুন জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ পেলে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষেরা প্রশাসনিক সুযোগ-সুবিধা আরো বেশি করে পাবে এমনটাই মনে করছে এলাকাবাসীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা ভেঙে নতুন সুন্দরবন জেলা তৈরি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক ছাপানউত্তর। কাকদ্বীপ মহকুমারে বিজেপি নেতা কৌশিক দাস বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দলের গোষ্ঠী কোন্দল রুখতে জেলা বিভাজনের পথে হাঁটছে। শুধুমাত্র নিজের দলকে বাঁচাতে জেলা নির্বাচন করতে একটুও পিছপা হচ্ছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে সিপিএম নেতা নারায়ণ দাস জানান, পরিকাটামো না তৈরি করে তৈরি করি জেলা ভাগ করাটাই বোকামির কাজ। এতে মানুষ আরো অসুবিধায় করবে। কোন পরিকল্পনা ছাড়াই জেলা ভাগ করে দিচ্ছে। দল বাঁচাতে গিয়ে এইরকম পরিকল্পনা।

জেলা বিভাজন কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানোর উত্তর লেগেই রয়েছে কিন্তু জেলা বিভাজন করলে আখেরে যে সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে সেটাই বলাই বাহুল্য। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত দ্বীপ অঞ্চলের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষেরা বলছে জেলা ভাগ হওয়া, অত্যন্ত প্রয়োজন। এবার দেখার বিষয়, জেলা ভাগ হলেও কি সুন্দরবনের খেটে সমস্যা কি মিটবে সেই প্রশ্ন রয়েই গেছে।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 + ten =