নিজস্ব সংবাদদাতা :: হলদিয়া :: সংবাদ প্রবাহ :: এক সপ্তাহের বেশি নিখোঁজ থাকার পর এক ব্যক্তির খালের জল থেকে পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হল। ওই ব্যক্তিকে খুন করার পর প্রমাণ লোপাটের জন্য খালের জলে ফেলে দিয়েছে দুষ্কৃতিকারীরা এমনটাই অভিযোগ প্রতিবেশী থেকে মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের৷ প্রথমে ওই ব্যক্তির পরিচয় উদ্ধার না হলেও পরে পরিচয় উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত সুশান্ত মাইতি, (৬১)। তার বাড়ী পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শিল্প নগরী হলদিয়া ব্লকের দেভোগ গ্রাম পঞ্চায়েতের চাউলখোলা গ্রামে৷ হলদিয়া মহাকুমা ভবানীপুর থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হলদিয়া মহাকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে এখানে আগে সুশান্ত মাইতি রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবারের লোকেরা খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও সন্ধান পাননি। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে হলদিয়া ভবানীপুর থানার নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেন।
মঙ্গলবার সকালে বড়বাড়ি গ্রামের গঙ্গাখালে খালে এক ব্যক্তির পচাগলা মৃতদেহ ভাসতে দেখতে পান এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর স্থানীয় ভবানীপুর থানার পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে খালের জল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে। এরপর পরিবারের লোকেরা মৃতদেহটি শনাক্ত করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে প্রকৃত তদন্তের দাবি জানান। পুলিশ একটি মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ ভবানীপুর থানার পুলিশ আধিকারিকে জানান ” মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে। যদিও তদন্তের কারণে বেশি কিছু তথ্য জানাতে রাজি হননি তিনি “। মৃত ব্যক্তি পরিবারের এক সদস্য বলেন ” ঠিক কি কারণে এমন ঘটনা তা প্রকৃত তদন্তের দাবি জানাই “।