নিজস্ব সংবাদদাতা :: মেচেদা :: পূর্ব মেদিনীপুর :: সংবাদ প্রবাহ :: ডেপুটেশান ও দুটি হকার মধ্যে বচসা জেরে রণক্ষেত্র চেহারা নিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মেচেদা স্টেশানে। বুধবার বিকেল তিনটা নাগাদ মেচেদা স্টেশনে ডেপুটেশন দিতে আসেন হকার সংগঠনের সদস্যরা। এরপর হকাররা রেল অবরোধ করে দেয়। 
অবরোধ তুলতে গিয়ে রেলের জিআরপি সঙ্গে বচসা জড়িয়ে পড়লেন হকার সংগঠনের সদস্যরা। এরপর অবরোধ তুলতে রেল পুলিশ লাঠিচার শুরু করে। ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে বেল জিআরপি। ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক উওেজনা থাকায় পুলিশ পিকেটিং বসানো হয়েছে। 
ঘটনা সূত্রপাত, বুধবার দুপুর ১২ টা নাগাদ কোলাঘাটের ভোগপুরে এক মহিলা হকারকে আটকায় রেল পুলিশ জিআরপি। এরপর মহিলা হকারে কাছ থেকে অতিরিক্ত ফাইন নেওয়ার অভিযোগ উঠে রেল পুলিশের বিরুদ্ধে। দাবি মতো অতিরিক্ত টাকা দিয়ে সেখান থেকে চলে যান ওই মহিলা। তারপর দলবল নিয়ে ডেপুটেশন দিতে আসেন হকাররা। বাজনার সহকারে মেচেদা স্টেশানে হাজির হয় হকাররা। অন্য একটি হকারা জানতে চান কি হয়েছে? তারপরেই দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক বচসা শুরু হয়। তারপর হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এরপর এক গোষ্ঠী রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।
বুধবার বিকেলে হাওড়া থেকে পাঁশকুড়া পর্যন্ত সমস্ত হকার ইউনিয়নের সদস্যরা ডেপুটেশন দিতে হাজির হয় মেচেদা স্টেশানে। রেল জিআরপির বিরুদ্ধে মিছিল করেন ও জিআরপি থানা ঘেরাও করে রাখেন হকাররা। এরপর দিঘা ও সাঁতরাগাছি একটি লোকাল ট্রেনের সামনে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। প্রায় ১০ মিনিট অবরোধ করে রাখে হকাররা। প্রথমে রেল পুলিশ অবরোধ তোলার জন্য অনুরোধ করেন।
অবরোধ না তুললে পুলিশ লাঠি চার্জ করে হাকরাদের হাঁটিয়ে দেয়। এখনোও পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে হকারকে আটক করেছে রেল পুলিশ।হকার সংগঠনে এক সদস্য গৌতম হাউর বলেন ” সাম্প্রতিক কয়েকদিন আগে এক মহিলাকে মামলার দেওয়ার নাম অতিরিক্ত ফাইন দিচ্ছে। আমরা চুরি করি না।
বিক্রি করেই সংসার প্রতিপালন করি। আমাদের দাবি না মানলেও আগামী দিন বৃহওর আন্দোলনে নামার হুশিয়ারী দেন “।প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য রেল পুলিশকে ফোন করা হলে ফোন ধরেননি। তাই কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
