নিজস্ব সংবাদদাতা :: নদীয়া :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্তমান প্রযুক্তি বিদ্যার অনেক উন্নতি সাধনের ফলে একদিকে যেমন উন্নতি সাধন হয়েছে ব্যবসায় তেমনি, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের চটকদারি বিজ্ঞাপনের জন্য তাঁত শাড়িতে বিখ্যাত শান্তিপুরের দীর্ঘদিনের সুনাম দুর্নামে পরিণত হচ্ছে, যার ফল ভোগ করছেন আর পাঁচটা সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
বিহারের বাসিন্দা প্রমোদ মেহতা শান্তিপুর গোবিন্দপুর এর মন্ডল সারি কুঠিরের বিজ্ঞাপন দেখেন ইউটিউবে। অবিশ্বাস্য কম দামে বিভিন্ন ধরনের তাঁত শাড়ি কেনার জন্য জীবনের প্রথম মনস্থির করেন তাঁত শাড়ির ব্যবসা করবেন, সমগ্র গোটা দিন এবং রাত ট্রেনে কষ্ট করে এসে আজ সকালে পৌঁছান ওই দোকানে। এর আগে অবশ্য ফোনে দোকান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জামাই আদর পেয়েছেন তিনি, এমনকি আসার সাথে সাথেও।
তবে উন্নত ক্যামেরায় রেকর্ড করা বিজ্ঞাপনের সাথে বাস্তবে শাড়ির কোন মিলই পাননি তিনি, বরং ব্যবহৃত পুরনো শাড়ি দেখানো হয়েছে তাকে এমনটাই অভিযোগ করেন তিনি। এরপর তিনি শাড়ি কিনতে অসম্মতি প্রকাশ করলে, অট্ট ভাষায় গালিগালাজ এর সাথে আটকে রাখার হুমকি দেওয়া হয়, পরবর্তীতে তাকে মারধর করতে উদ্ধত হলে তিনি পালিয়ে প্রতিবেশী এক বাড়িতে আশ্রয় নেন। তাদের সৎ পরামর্শে তিনি পৌঁছান শান্তিপুর থানায়। সেখানে একটি লিখিত অভিযোগ করেন, তার আধার কার্ড এটিএম এবং ব্যাগে রাখা হাত খরচের ১৫০০ টাকা সমেত ব্যাগ উদ্ধারের জন্য। শান্তিপুর থানার পক্ষ থেকে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণভাবে দেখা হয়েছে, এলাকার বহু মানুষের প্রধান রুটি রুজির কথা মাথায় রেখে।
অন্যদিকে ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকেও এ ধরনের দু একটি ঘটনা জানার পর, তারাও এ বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছেন।
সাধারণ ব্যবসায়ীরাও বলছেন, এভাবে একের পর এক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ক্রেতার সংখ্যা ক্রমশাই কমছে। তাদের দাবি অবিলম্বে বিজ্ঞাপনের উপর নিয়ন্ত্রণ এবং বিশেষ নজরদারি দরকার পুলিশ প্রশাসন এবং সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের।