রাজ্যের নবনিযুক্ত ক্ষুদ্র মাঝারি ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তাজমুল হোসেনকে ঘিরে কর্মী সমর্থকদের ভিড় জন জোয়ারে পরিণত হলো।

কুমার মাধব :: মালদা :: সংবাদ প্রবাহ :: শনিবার সকালে কলকাতা থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনে নামতে রাজ্যের নবনিযুক্ত ক্ষুদ্র মাঝারি ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তাজমুল হোসেনকে ঘিরে কর্মী সমর্থকদের ভিড় জন জোয়ারে পরিণত হলো। রাজ্যের নতুন মন্ত্রী তথা ঘরের ছেলে কে কাছে পেয়ে সবুজ আবির খেলায় মেতে উঠল তৃণমূল কর্মীরা।

ব্যান্ড পার্টি সঙ্গে ডিজে বাজিয়ে স্টেশন চত্বরেই চলল মিষ্টি মুখ ও মাল্যদান পর্ব। সকাল থেকে স্টেশন চত্বরে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক জম্বু রহমান, বুলবুল খান, জেলা পরিষদের শিশু নারী ত্রাণ কর্মদক্ষ মজিনা খাতুন, সঞ্জীব গুপ্তা, লালটু হক সহ সহ আরো অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ। এরপর হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশন চত্বরে নবনির্মিত মঞ্চে মন্ত্রী তাজমুল হোসেনকে সংবর্ধনা জানান দলীয় কর্মী এবং নেতৃত্বরা।

এর পরেই মন্ত্রীকে হুট খোলা গাড়িতে চাপিয়ে বিধানসভা পরিক্রমায় বের হয় তৃণমূলের দলীয় কর্মী সমর্থকরা। সামনে কয়েকশো মোটরসাইকেল এবং হাজার হাজার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে পরিক্রমা মিছিল হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশন থেকে শুরু হয়ে শহীদ মোড় হয়ে ইসলামপুর মহেন্দ্রপুর হয়ে ভবানীপুর এলাকা দিয়ে তাজমুল সাহেবের গ্রামের বাড়ি বাংরুয়া তে এসে শেষ হয়। পরিক্রমা পথে ইসলামপুর মহেন্দ্রপুর এলাকায় থেকে গ্রামের মানুষরা মন্ত্রীর দিকে পুষ্প বৃষ্টি শুরু করেন। মন্ত্রীর গলায় পড়ানো হয় গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে মালা। মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে ভোর থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভা এলাকার মানুষদের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মত। তাজমুল সাহেবের জীবন এবং রাজনৈতিক ক্রিয়া-কলাপ বর্ণময়। হাটে হাটে কাপড়ের ফেরিওয়ালা থেকে মন্ত্রী পদে উত্থান এ সত্যিই চমকে দেওয়ার মতো। সাধারণ বুধ কর্মী থেকে রাজ্যের মন্ত্রীর পদে আসীন হলেও তার বিধানসভা এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ থেকে বিন্দুমাত্র বিচ্ছিন্ন হননি আজকের মিছিল সেটাই প্রমাণ করলো। মন্ত্রী আগমন ঘিরে হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভা এলাকায় পুলিশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছিল। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি দেউদূত গজনীর নেতৃত্বে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়ন করা হয়। তবে মন্ত্রীকে সম্বর্ধনা এবং মিছিল কে এলাকার তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষদের উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × four =