নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: হাওড়া :: শুধু সম্পত্তিগত বিবাদই নয়, হাওড়ায় একই পরিবারের চারজনকে কাটারি জাতীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নারকীয় খুনের নেপথ্যে ছিল ভাসুর দেবাশিসের সঙ্গে ছোট ভায়ের স্ত্রী পল্লবীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের তত্ত্বও। প্রাথমিক তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে।
তবে, এই অবৈধ প্রেম কাহিনীর কথা জানতেন পল্লবীর স্বামী দেবরাজও। এমনকি, স্বামী দেবাশিস যে ছোট জা এর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িত তা জানতে পেরেছিলেন দেবাশিসের স্ত্রী বড়ো জা রেখাও। তবে, টাকার বিনিময়ে ছোট ভাই ও ছোট ভায়ের স্ত্রী পল্লবীকে ‘চুপ’ করিয়ে রেখেছিলেন দেবাশিস।
সূত্রের খবর, বুধবার রাতে হাওড়ার এম সি ঘোষ লেনে সম্পত্তিগত বিবাদ নিয়ে পরিবারের মধ্যে তুমুল অশান্তি যখন চরমে ওঠে তখন দাদা দেবাশিস ২ হাজার টাকা এনে ‘রফা’ করতে যান। আর তাতেই আগুনে ঘৃতাহুতি পড়ে। প্রবল ক্রোধের বশেই দাদা বৌদিকে কুপিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। রাগে পল্লবী ভাসুরের যৌনাঙ্গ পর্যন্ত কেটে দেন। বাধা দিতে আসায় শাশুড়ী ও ভাসুরঝি’কে খুন করা হয়।
জানা গেছে, পরিবারের গৃহকর্তা শিশির কুমার ঘোষ এইচআইটি থেকে অবসরগ্রহণের পর বেশ কিছু টাকা পেয়েছিলেন। যা তিনি বড়ো ছেলে দেবাশিসের পরিবারকে দিয়েছিলেন। সম্প্রতি একটি জমি বিক্রির মোটা অঙ্কের টাকাও পেয়েছিলেন দেবাশিস। সব মিলিয়েই কিছু না পাওয়ার আফসোস কুরে কুরে খাচ্ছিল দেবরাজ ও পল্লবীকে।
একই পরিবারের মধ্যে থেকেও দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্ব দূরত্ব আরও বাড়ছিল। আর তাই অনেকদিন থেকেই তিনতলা বাড়ির পুরোটাই হস্তগত করতে উঠেপড়ে লেগেছিলেন ছোট ভাই দেবরাজ। এই নিয়েই পরিবারে অশান্তির মাত্রা তীব্র হয়েছিল। আর এরই পরিণতি চার চারটি খুন।