নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: বিজয় চাঁদ রোড এবং গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডের সংযোগস্তলে অবস্থিত বিজয় তোরণ বর্ধমামানের ঐতিহ্য কার্জন গেট। এটি ১৯০২ থেকে ১৯০৩ সালে মহারাজা বিজয়চাঁদ মহাতাব নির্মাণ করেছিলেন। স্বাধীনতার পর, গেটটি বিজয় তোরণ নামে পরিচিত ছিল, তবে এটি এখনও কার্জন গেট হিসাবে জনপ্রিয়। সম্প্রতি সেই কার্জন গেটকে নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
বিধায়ক খোকন দাস কার্জন গেটে রাজা রানীর মূর্তি নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আগামী ২০আগষ্ট বসতে চলেছে কার্জনগেটের দুদিকে এই রাজা রানির মূর্তি তার জন্য জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। সেই নিয়েই শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব। শহরবাসীর একাংশের দাবি কার্জনগেটের সামনে যদি মূর্তি বসানো হয় তাহলে ঐতিহ্যবাহী কার্জনগেটের তোরণের নকশা ঢাকা পড়ে যাবে।
সোশ্যাল মিডিয়াতেও তুমুল বিতর্কে ঝড় উঠেছে। অন্যদিকে কেউ বা কারা আবার রাজা রানীর মূর্তি স্থাপনের ইতিবাচক দিক তুলে ধরছেন। রাজা বিজয় চাঁদ এবং তার স্ত্রী রাধারানী দেবীর মূর্তি স্থাপন কার্জন গেটের ঐতিহ্য নষ্ট করবে না বরং এদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক গুণ বাড়িয়ে দেবে বলেই অনেকে মনে করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সুভাশিষ মুখার্জি বলেন, বর্ধমানের ইতিহাস অত্যন্ত সুপ্রাচীন,মুঘল সাম্রাজ্যের সাথে যোগ রয়েছে বর্ধমানের ইতিহাসের। শের আফগান নুরজাহানের গল্প অনেকেরই জানা। কালের পরিবর্তনে এসেছে বর্ধমানের অনেক রাজবংশই। বিজয় চাঁদ লর্ড কার্জনকে স্বাগত জানাতে এই স্থাপত্য নির্মাণ করেছিলেন।
বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছিল তার ঐতিহ্য কিন্তু তৃণমূল সরকার এই স্থাপত্যের উপর বেশ জোর দিয়েছেন। শুরু হয়েছে তাই এতে রাজা রানীর মূর্তি বসলে এটির কোনো রকম ঐতিহ্য নষ্ট হবে না। রাজ্যবাসী তথা দেশবাসী বর্ধমানের দর্শনীয় স্থান গুলি দেখতে আসেন। তারা বর্ধমানের ঐতিহ্যের প্রতি আরও আকর্ষিত হবে।