নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: হাওড়া :: আজকে সাঁকরাইলে দলীয় সভায় উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলের নেতা মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে এভাবেই আক্রমন করেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম। তিনি দাবি করেন রাজ্যের মানুষ জানতো তৃণমূলে সবাই চোর। তবে এখন দেখা যাচ্ছে সেখানে চোরেদের শ্রেণীভেদ আছে।
কেউ দিদির কাছের চোর, কেউ বা ভাইপোর কাছের চোর। পাশাপাশি রাজ্যে সমবায় দফতরে কলকাতা হাই কোর্টে দাখিল হওয়া মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ করে বলেন রাজ্যের গ্রামীণ সমবায়গুলোতে চুরি করে সব ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে। যে জায়গাতে ইউনিয়ন রয়েছে সেগুলো বাদ দিয়ে বাকি সব কটাতে চুরির নজির তৈরী হয়েছে।
পাশাপাশি তিনি দাবি করেন কয়লা, গরু এসমস্ত খাতে নিজেরা ২৫% ও বাকি ৭৫% দলকে দিয়ে চুরির কথা আগেই শোনা গেছিলো। আর সেই কাজে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে থানার অধিকারিকরা বলেই দাবি করেন সেলিম। তিনি বলেন দিনের পর দিন চালনের ভুয়ো চালনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে লুট করা হয়েছে।
সেই অর্থ ভাইপোর কাছে পৌঁছেছে। তিনি দাবি করে বলেন তৃণমূলে কে কে চোর সেটা বলার চেয়ে একজনের নাম বলা যে সে চোর নয়, সেটা সহজ কাজ হবে। তিনি অভিযোগ করে বলেন সারদা আর নারোদা কাণ্ডে যারা অভিযুক্ত সেই সব লোকেরা আজকে দলের নেতা সাংসদ ও মুখপাত্র হয়ে বসে আছে।
তিনি বলেন তৃণমূলের ছোঁয়া যেখানে যেখানে লেগেছে সেখানেই চুরি হয়েছে। তাই সমবায় দফতরেও চুরি হয়েছে। এটা সংবাদ মাধ্যম জানতো, পুলিশও জানতো। তবে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলা নিষেধ তাই তাঁরা বলে নি।