নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: চুঁচুড়া :: হুগলি জেলার ধনিয়াখালি উপপ্রধান খুনে ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হল। ২০১৮ সালে ধনিয়াখালি থানার কুমরুল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মৃত্যুঞ্জয় বেরাকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল। ২০১৮ সালের ১৩ মে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল জয়লাভ করে কিন্তু প্রধান ও উপপ্রধান নিয়ে নিজেদের মধ্যেই দ্বন্দ্ব শুরু হয় এই দ্বন্দ্ব মেটাতে ২৩ মে বিডিও একটি বৈঠক ডাকেন।
সেই বৈঠক শেষে রাতের বেলা বাড়ি ফেরার সময় কুমরুল আলু পট্টির কাছে লোহার রড শাবল ইত্যাদি দিয়ে নিশংসভাবে পিটিয়ে খুন করা হয়। এই ঘটনায় রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়েছিল ধনেখালি ব্লকে। মৃত্যুঞ্জয় বেরার স্ত্রী রেবা বেরা ধনিয়াখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
প্রাক্তন প্রধান চিত্তরঞ্জন সাঁতরা তাঁর ভাই ও ভাইপো সহ তেরো জনের বিরুদ্ধে। পুলিশ সেই ঘটনার তদন্ত করে আট জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছিল বাকি পাঁচজন আজও পলাতক।
দিন দু’য়েক আগে চুঁচুড়া আদালত পলাতক সহ মোট ১৩ জনকেই দোষী সাব্যস্ত করে। আজ চুঁচুড়া আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক রায় ঘোষণা করলেন। যেখানে ওই আটজনকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হল।
এদিন আদালত থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা বার হতেই ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ দেখায় প্রয়াত উপপ্রধানের অনুগামীরা। অন্যদিকে কান্নায় ভেঙে পড়েন দোষীদের অনুগামীরা। এদিন প্রিজন ভ্যানের ভিতর থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবী করে এই ঘটনার জন্য তারকেশ্বরের বর্তমান বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায়কে দায়ী করেন। তাঁরা সঠিক বিচারের জন্য হাইকোর্টেও যাবেন বলে জানান।