নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: হুগলি :: সময়টা মাত্র একমাস। এই একমাসে নেই নেই করে ৩০টি গরু উধাও হয়ে গেল। প্রকাশ্য দিবালোকে এলাকা থেকে একের পর এক গরু চুরির ঘটনায় এলাকায় রীতিমত চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ থানা থেকে শুরু করে চন্দননগর কমিশনারেট সর্বত্র জানিয়েও মেলেনি সুরাহা।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ গরু খোঁজার জন্য পুলিশের সময় নেই বলে থানা থেকে জানিয়েছে। ঘটনাটি চুঁচুড়া থানার ব্যান্ডেল সাহাগঞ্জের ঝাঁপপুকুর ও মোল্লাপোতা এলাকার। এই এলাকার বেশীরভাগ মানুষের রুজিরুটি বলতে গরু। গরুর দুধ বিক্রী করেই এখানকার মানুষের পেট চলে। প্রায় দেড় দশক আগে থেকেই এখানে দু’-একটা করে গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে।
কিন্তু সম্প্রতি সেই গরু চুরির ঘটনায় বিপ্লব ঘটেছে এলাকায়। মাস খানেক আগে থেকে রাজ্যের গরু পাচার কান্ড শিরোনামে আসার সময় থেকে এই এলাকার ৩০টি গরু উধাও হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা স্বাতী মন্ডলের তিনটি গরু উধাও হয়েছে দু’দিনে। সুনীল মন্ডলের ৫টি। বারংবার থানায় জানিয়েও কোন কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।
রাকেশ পাশওয়ানেরও একাধিক গরু উধাও। রাকেশবাবু একবার এলাকায় থাকা একটি সিসিটিভি ফুটেজে কাপড় ঢাকা দেওয়া অবস্থায় গরু নিয়ে যেতে দেখেছেন। কিন্তু আজ অবধি কেউ ধরা পরেনি। এই এলাকার বাসিন্দা তথা কেন্দ্রের গোয়েন্দা দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী কৃষ্ণ কুমার সিং পরিবারে দুধের জোগান দিতে বাড়িতে একটি গরু পোষেন। কিন্তু সেই গরু নিয়েও চম্পট দিয়েছে কেউ বা কারা। গরু বাঁচাতে কি করবে তা ভেবেই দিশাহারা স্থানীয়রা।