সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: ক্যানিং :: প্রকাশ্য দিবালোকে খুনের ঘটনা খুনিকে নিয়ে পুনর নির্মাণ করা হলো দুপুরে। যা দেখতে ভিড় জমিয়েছে আশপাশের মানুষজনরা। খুনের ঘটনার পুনর নির্মাণ দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্থানীয় মানুষজনরা। গত ৭ জুলাই গোপালপুর পঞ্চায়েতের ধর্মতলা এলাকায় খুন হন তিন তৃণমূল কর্মী। প্রথমে তাদেরকে গুলি করা হয়, তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় রাস্তার মাঝে।
মূলত একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি মিটিংয়ে যাওয়ার সময় তাদেরকে খুন করে একদল দুষ্কৃতি। এই ঘটনায় নাম ওঠে এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতি রফিকুল সর্দারের। রফিকুল সরদারের সঙ্গে এই ঘটনায় যুক্ত ছিল আরো বেশ কয়েকজন। পরে খুনের ঘটনায় তদন্ত নেমে পুলিশ প্রাথমিকভাবে তিনজনকে গ্রেফতার করে। এরপর গত বুধবার কেরালা থেকে গ্রেফতার করা হয় রফিকুলকে।
তারপর তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হয় ক্যানিং। এরপর পুলিশ আলিপুর আদালতে তোলার পর বেশ কয়েক দিনের পুলিশ কাস্টডিতে নেয়। পুলিশ কাস্টডিতে নেওয়ার পর বুধবার সেই এলাকায় উপস্থিত হন বারইপুর জেলার পুলিশ সুপার মিসেস পুষ্পা। রফিকুল পুরো ঘটনার পুনঃনির্মাণ করে দেখান।
এর ফলে তদন্তকারী অফিসারদের ঘটনা তদন্ত করতে যথেষ্ট সাহায্য হবে বলে মনে করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশের তরফ থেকে এই ঘটনার সময়ে মোতায়েন করা হয়েছিল ব্যাপক পুলিশ বাহিনী। যাতে রফিকুল কোনভাবে পালিয়ে যেতে না পারে তার জন্য চারিদিকে ঘিরেও রাখা হয় পুলিশ দিয়ে। তবে এই ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলি এখনো উদ্ধার করতে পারিনি পুলিশ।