পান্তা ভাত খেয়েই কৈলাসে ফিরে যাবেন কৃষ্ণনগর চ্যাটার্জি বাড়ির নীল দুর্গা।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নদিয়া :: পান্তা ভোগ খেয়েই কৈলাসে ফিরে যাবেন কৃষ্ণনগর নাজিরা পাড়া চ্যাটার্জি বাড়ির নীল দুর্গা। কৃষ্ণনগরের নীল দুর্গা নিয়ে রয়েছে অনেক ইতিহাস। পূর্বপুরুষেরা প্রথম এই নীল দুর্গার প্রচলন করেছিলেন বাংলাদেশের বামরাইল গ্রামে। সেখান থেকে এই পুজো চলে আসে কৃষ্ণনগর। বর্তমান চ্যাটার্জি বাড়ির বংশধরেরা এই পুজোর প্রচলন করেছেন এদেশে।

চ্যাটার্জি বাড়ির নীল দুর্গা প্রতিদিনই আঁশ ভোগ অর্থাৎ মাছ দিয়ে ভোগ দেওয়া হয়। নবমীতে হয় শত্রু বলি। চালের গুঁড়ো দিয়ে শত্রু বানিয়ে বাড়ির সদস্যেরাই এই বলি দিয়ে থাকেন। দেবী দুর্গার গায়ের রং নীল হওয়ার অন্যতম কারণ হলো বাংলাদেশে লম্ফ বাতিতে দেবী দুর্গার গায়ের রং করার সময় ভুল করে মৃৎশিল্পী নীল রং দিয়ে ফেলেন। সেই রাতেই দেবী দুর্গার স্বপ্ন দেশ দেন তার গায়ের রং যেন নীল অপরাজিতা বর্ণের হয়।

আর সেই থেকেই দুর্গার গায়ের রং নীল অপরাজিতা রংয়ের হয়ে আসছে। এই পুজোর বিশেষত্ব হলো দেবী দুর্গার ডান দিকের পরিবর্তে বাম দিকে থাকে গণেশ লক্ষী এবং ডান দিকে কার্তিক সরস্বতী। দশমীর দিন পান্তা ভাত খেয়েই কৈলাসে ফিরে যাবেন দেবী, এটাও কৃষ্ণনগর নাজিরা পাড়ার চ্যাটার্জিবাড়ি নীল দুর্গার বিশেষ বৈশিষ্ট্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + 3 =