নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: টাকি :: টাকির রাজবাড়ির পুজো ৩০০ বছরে পা দিল ।মা পান্তা ভাত কচু শাক খেয়ে ২৬ বাহকের কাঁধে চড়ে ইছা মতিতে বিসর্জিত হবেন । আজও ইতিহাস বহন করে সকাল থেকেই টাকির রাজবাড়ি রীতি মেনে ঠাকুর যাত্রামঙ্গল বরন তারপর সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠে স্থানীয় বাসিন্দারা ।
আগে টাকির রাজবাড়ির ঠাকুর ইছামতি নদীতে বিসর্জন হবে তারপর একে একে ঘোষ বাড়ি রায়চৌধুরী বাড়ি মুখার্জি বাড়ি গুরুর বাড়ি চক্রবর্তী বাড়ি প্রথা মেনে সেই ঠাকুর গুলো সকলেই বিসর্জন হয়ে যায় ।তারপরই অনি প্রতিমা গুলি ইচামতিতে বিসর্জন হবে ।
দুপুরের পর থেকে নদীপক্ষে ভারতীয় সীমান্তে তারা প্রতিমা নৌকায় তুলে দর্শনার্থীদের দর্শন করাবেন তারপর সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়বে, বিসর্জন হবে ।বিজয় দশমীর শুভেচ্ছা বিনিময় ফুল মিষ্টির মধ্য দিয়ে নতুন ভাবে আবার দেবী আগমনীর বার্তা ইছামতি নদীর পক্ষে থেকে উঠে আসবে।
তারপর ইছামতি নদীতে চিরচারিতা প্রথা মেনে আতশবাজি প্রদর্শনী হবে সবটাই নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে ইতিমধ্যে বিজিবি বিএসএফ নদীর মাঝ বরাবর তারা পেটরলিং শুরু করেছে ।
দুই বাংলার বিসর্জন হবে কিন্তু কেউ সীমারেখা অতিক্রম করবে না। ভারতীয় সীমান্তে যেমন প্রতিমা নিরঞ্জন করবেন এপার বাংলার মানুষ উল্টোদিকে ওপার বাংলার মানুষ বাংলাদেশ সীমান্তে প্রতিমা নিরঞ্জন করবেন ।কিন্তু একে অপরের সীমান্ত অতিক্রম করবেন না এমনটাই নির্দেশিকা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।