নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: ঝাড়গ্রাম :: দ্বীপান্বিতা কালীপূজোর আলোর উৎসবের সাথেই বাঁদনা পরবে মেতে উঠে জঙ্গলমহল। প্রথা মেনে রাঢ় বাংলার এই অঞ্চলে কালীপুজোর দিন থেকেই এই উৎসব শুরু হয়ে যায়। বন্দনা থেকে বাঁদনা শব্দটি এসেছে। এই উৎসব মূলত গরুর বন্দনা করা।বস্তুত, এই উৎসব মূলবাসীদের হলেও জঙ্গলমহলের সকলেই এই উৎসবে সামিল হন।
আমন ধান বাড়িতে তোলার আগে গরুদের বন্দনা করে কৃতজ্ঞতা জানানোর রীতি । কথিত রয়েছে, কালীপুজোর রাতে গৃহস্থের গোয়াল পরিদর্শন করতে আসেন সয়ং মহাদেব। কালীপুজোর দিন বাড়ির মহিলারা গোয়াল ঘর পরিস্কার করে গোবর-মাটি দিয়ে সাজিয়ে তোলেন।
ঐদিন রাতের বেলায় ঝাগড় দল ঢোল, করতাল সহযোগে অহীরা গানের মাধ্যমে গৃহস্থের গোয়ালে গরু জাগান।
পরদিন চালেরগুঁড়োর সাথে পাইনা নামে জঙ্গলে র একধরনের পিচ্ছিল লতা বেটে বাড়ির উঠোন থেকে গোয়াল ঘর পর্যন্ত আল্পনা দেওয়া হয়।
গরুদের স্নান করিয়ে শিংয়ে তেল মাখানো হয়। কপালে দেওয়া হয় সিঁদুরের ফোঁটা র সাথে বিশেষ ভেষজ রঙে গরুর সারা গায়ে ছাপ দেওয়া হয়। সন্ধ্যার সময় গোয়াল ঘরে প্রদীপ জ্বালিয়ে গরুর পূজা করা হয়ে থাকে।