পুলিশ আসে , মদ-সাট্টা-জুয়ার ঠেক থেকে টাকা নিয়ে চলে যায়, বিধায়কের সামনে বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূল নেতার

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নরেন্দ্রপুর :: গত ২৮ অক্টোবর নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার দাসপাড়া শান্তি পার্কে দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমার আঘাতে আহত হয়েছিল পাঁচ নাবালক। এলাকার ভেরি ও জগদ্ধাত্রী পূজোর দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ের জেরে এই ঘটনা বলে পরবর্তীতে জানা যায়। সেই ঘটনার চারজনকে গ্রেফতার করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল পাঁচটি তাজা বোমা। ধৃতদেরকে বারুইপুর মহাকুমা আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে সোমবার রাতে উদ্ধার হয়েছিল দুটি ওয়ান শাটার বন্দুক ও ছয় রাউন্ড তাজা কার্তুজ। ইতিমধ্যেই দাসপাড়া মোড়ে বিজেপি একটি পথসভা করেছিল এলাকায় বোমাবাজি ও দুষ্কৃতী কার্যকলাপ নিয়ে। আর মঙ্গলবার বিকেলে তারই পাল্টা সভা করল তৃণমূল।

যে সভাতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনার যাদবপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী, সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফেরদৌসী বেগম ও সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রবীর সরকার সহ অন্যান্যরা।

আর সেই সভাতেই বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমের সামনে পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করলেন, খেয়াদহ দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সঞ্জয় মন্ডল। তিনি জনসভা থেকে দাবি করলেন, বারবার নরেন্দ্রপুর থানার আইসিকে জানিয়েও এলাকায় মদ, সাট্টা ও জুয়ার ঠেক বন্ধ হয়নি। পুলিশ আসে মদ, সাট্টা ও জুয়ার ঠেক থেকে টাকা নিয়ে চলে যায়। যার জেরে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা এলাকায় আসছে দুষ্কৃতীমূলক কাজকর্ম করে বেরিয়ে যাচ্ছে।

এর জেরে বেশ কিছুটা অসস্তিতে পড়েন স্থানীয় বিধায়ক ফেরদৌসী বেগম। তিনি সাংবাদিকদের জানান এই ঘটনা নিয়ে তিনি মাসপিটিশন করবেন বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের কাছে এবং অবিলম্বে তদন্ত করে এলাকার অসামাজিক কাজকর্ম বন্ধের আবেদন করবেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 3 =