আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: সংবাদপ্রবাহ টিভি ডট কম :: ২৭শে ডিসেম্বর :: নয়াদিল্লি :: অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সবার আগে অনুমোদন পেতে পারে ভারতে। আজ রোববার এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
সরকারি সূত্র জানায়, ভারতে জানুয়ারি থেকে করোনার টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে প্রস্তুতি চলছে। টিকা শুরুর সম্ভাব্য এই সময় সামনে রেখে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার সংস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে নজর রাখছে। কারণ, আমেরিকায় শীঘ্রই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা অনুমোদন পেতে পারে।
সরকারি সূত্র অনুযায়ী যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা অনুমোদন দিলেই ভারতের সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের (সিডিএসসিও) কোভিড-১৯ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটি মিটিং করবে। জরুরি অনুমোদনের লক্ষ্য তারা ভারতে ও ভারতের বাইরে টিকাটির ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার তথ্যের পাশাপাশি নিরাপত্তা পর্যালোচনা করবে। তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবিত করোনার টিকা উৎপাদন করছে ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা প্রকল্পের অন্যতম অংশীদার ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। তারা এই টিকা ভারতে উৎপাদন করছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে ইতিমধ্যে ভারত সরকারের কাছে আবেদন করেছে সেরাম ইনস্টিটিউট।
সেরাম ইনস্টিটিউট ছাড়াও ভারত বায়োটেক ও ফাইজার ভারতে করোনার টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আবেদন করেছে।কর্মকর্তারা বলছেন, ভারত বায়োটেকের টিকার জরুরি অনুমোদন পেতে সময় লাগবে। কারণ, এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল এখনো চলছে। আর ফাইজার তাদের টিকার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কমিটির সামনে সময় চেয়েছে।
একটি সূত্রের ভাষ্য, এ অবস্থায় ভারতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা প্রথম অনুমোদন পেতে পারে।ভারতে আরও কয়েকটি টিকা পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।করোনার টিকা ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার রেগুলেটরি এজেন্সির (এমএইচআরএ) কাছে আবেদন করেছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এ মাসের শেষ দিকে এমএইচআরএ টিকাটির অনুমোদন দিতে পারে বলে মার্কিনি কর্মকর্তারা জানান।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা অনুমোদন পেলে তা ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে ভূমিকা নেবে। কারণ, ফাইজার-বায়োএনটেকের তুলনায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সংরক্ষণ, পরিবহন ও প্রদান অনেক বেশি সহজ হবে।
ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। অন্যদিকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সাধারণ রেফ্রিজারেটরেই সংরক্ষণ করা যাবে।