নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: রাজ্যবাসীর সমস্যার সুরাহার দিশার নেই রাজ্য বাজেটে বলছেন বিরোধীরা । মুখ্যমন্ত্রী ভল্চ্র্ন বাজেট উন্নয়নমুখী । এবার বাজেটে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ৩ শতাংশ ডিএ দেওয়ার ঘোষণা হয়েছে। তা নিয়েও তোপ দেগেছে বামেরা। তাদের দাবি, পুরোটাই ভাঁওতাই। রাজ্যবাসীকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে বুধবার বিধানসভায় বাজেট পেশ করল রাজ্য। ডিএ, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, ভবিষ্যত ক্রেডিট কার্ড-সহ একাধিক বড় ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। সাধারণ কথা মাথায় রেখেই বাজেট তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তা মানতে রাজি নয় রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু তোপ, “পশ্চিমবঙ্গের যে সব জ্বলন্ত ইস্যু আছে, মানুষের যে আকঙ্খা আছে, এই বাজেটে তা পূরণের ব্যবস্থা রাখা হয়নি ।
২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য ৩,৩৯,১৬২ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবিত হয়েছে। প্রত্যাশা মতোই একাধিক জনমুখি প্রকল্পে বিপুল পরিমাণে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়াও এই অর্থবর্ষ থেকে আরও কিছু নতুন প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। আজ, অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৩% ডিএ বাড়তে চলেছে। মার্চ থেকেই এই বর্ধিত হারে ডিএ মিলবে। পেনশন প্রাপকরাও এই বর্ধিত ডিএ পাবেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। ৮.৪১% হারে রাজ্যে আর্থিক বৃদ্ধি হবে বলে অনুমান করা হয়েছে এবারের বাজেটে। পর্যাপ্ত বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে জিএসটি আদায়ের ক্ষেত্রেও। জিএসটি রাজস্বে বৃদ্ধির হার ২৪.৪৬%।
স্ট্যাম্প ডিউটিতে ২% ছাড় ও সার্কুলার ডিউটিতে ১০% ছাড়ের মেয়াদ সেপ্টেম্বর অবধি বাড়ানো হয়েছে। যুবকদের জন্য ‘ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড’ নামের নয়া প্রকল্প চালু হচ্ছে। এই প্রকল্পে ১৮-৪৫ বছর বয়সী যুবকদের ৫ লক্ষ অবধি ঋণ দেওয়া হবে। যার মার্জিন মানি হিসেবে ২৫ হাজার টাকা রাজ্য সরকার ভর্তুকি বাবদ প্রদান করবে ও ১৫% গ্যারান্টি দেবে।
কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নানের কথায়, “যিনি অর্থনীতির কিছুই বোঝেন না তিনি রাজ্য বাজেট পেশ করলেন। তা করতেই পারেন। কিন্তু এত কালো টাকা উদ্ধার হচ্ছে বাজেটে কেন তা নিয়ে কিছু বললেন না অর্থমন্ত্রী। শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি ও পরবর্তী প্রজন্মকে বাঁচানোর জন্য শিক্ষালয়গুলিতে কীভাবে শিক্ষক নিয়োগ হবে তা নিয়ে একটি শব্দ খরচ করেননি। শুধুই দান খয়রাতির ঘোষণা।” তাঁর আরও প্রশ্ন, “কোথা থেকে এত কোটি টাকা আসবে? তাও পরিষ্কার করেননি। আসলে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেমন অর্থনীতিবিদ তেমনি অর্থনীতিবিদ আমাদের অর্থমন্ত্রী। তাই বাজেট যা হওয়ার তাই হয়েছে।” একই সুর বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর গলাতেও। তিনি বলেন, “পুরোটাই ভাঁওতাই। রাজ্যবাসীকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা। ৩ শতাংশ ডিএ বাড়তই, এটা কোনও নতুন তথ্য নয়।