উত্তরপত্র বিতর্কে নাম জড়ালো কাউন্সিলরের

সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: ডায়মন্ডহারবার :: ১০ই,মার্চ :: আবারও নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ালো ডায়মন্ডহারবার পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমিত সাহার। সম্প্রতি, হটুগঞ্জের মহারাজ নরেন্দ্র কৃষ্ণ হাই স্কুলের কর্মী। উত্তর পত্র কারচুপি করে চাকরি নামের তালিকায় ওঠে ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল নেতা অমিত সাহার নাম।

জানা যায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে গ্রুপ সি এর ওএমআর সিটের প্রকাশের কথা বলা হয় আর সেখানেই ডায়মন্ড হারবারের টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা ডায়মন্ড হারবার পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি অমিত সাহার নাম উঠে আসে এবং তার ওএমআর শিট প্রকাশ করতেই দেখা যায় মোট সাতটি প্রশ্নের উত্তর দেয় এই তৃণমূল নেতা আর তারপরেই তার চাকরি হয় হটুগঞ্জ হাই স্কুলে ।

শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ওই মামলার শুনানি রয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকেই কাউন্সিলরের বাড়িতে ঝুলছে তালা। কাউন্সিলরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সেই ফোন বন্ধ। বিতর্কিত কাউন্সিলরের বাড়ি অন্যদিকে এই বিষয়ে প্রতিবেশী ও বাড়ির লোকজনকে জিজ্ঞেস করলে কেউ কিছুই সদুত্তর দিতে পারেনি। তবে এই বিষয় নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা।

স্কুলের কর্তৃপক্ষ আশাপূর্ণা হালদার মাইতি বলেন, এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না আমি ২০২২ সালে এই স্কুলের দায়িত্ব পাই। কিভাবে চাকরি পেয়েছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। গতকাল স্কুলে এসেছিল অমিত সাহা আজ স্কুলে আসেনি।

আর এই বিষয়ে ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি সুফল খাটুয়া বলেন, আমরা এর আগে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে ছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রত্যক্ষভাবে নাম জড়ালো ডায়মন্ড হারবার টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি তথা ডায়মন্ড হারবার পৌরসভা ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমিত সাহার।

রাজ্যের শাসক দল টাকার বিনিময়ে মেধাকে আড়াল করে চাকরি বিলিয়েছে শুধু তাই নয় রাজ্যের শাসক দলের নেতা ও কর্মীদের চাকরি দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তদন্ত শুরু হয়েছে ধীরে ধীরে আরও অমিতের নাম উঠে আসবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে।

এই সরকার যত তাড়াতাড়ি রাজ্য থেকে বিতাড়িত হবে ততই রাজ্যবাসীর ক্ষেত্রে মঙ্গল। কার্যত নিয়োগ দুর্নীতিতে অস্বস্তি মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। যদিও এই বিষয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে কেউ মুখ খোলেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × five =