নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বাঁকুড়া :: ১৩ই,মার্চ :: ফের বিতর্কিত মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন তালডাংরার ‘বিতর্কিত’ তৃণমূল বিধায়ক অরুপ চক্রবর্ত্তী। ডি.এ নিয়ে যৌথ মঞ্চের আন্দোলনের মাঝেই প্রকাশ্যে রাজ্যের শিক্ষকদের পরোক্ষে ‘চোর’ বললেন বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের ‘অঘোষিত’ নাম্বার ওয়ান, ‘দিদির দূত’ বিধায়ক অরুপ চক্রবর্ত্তী।
ঘটনার সূত্রপাত তাঁর নিজের নির্বাচনী এলাকা তালডাংরা বিধানসভার সিমলাপালের বিক্রমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নিমাইপুর গ্রামে। ঐ গ্রামে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচীতে সপারিষদ ‘দিদির দূত’ বিধায়ক অরুপ চক্রবর্ত্তীকে হাতের কাছে পেয়ে স্থানীয় অভিভাবকরা স্কুলের মিড.ডে মিলের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এক অভিভাবিকা বিধায়কের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘মিড.ডে.মিল না দিয়ে বাচ্ছার কিছু টাকা দিলে মায়েরা অনেক ভালো খাওয়াতো’।
এর উত্তরে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘টাকা দিলে সেই টাকা চুরি হয়ে যাবে! তখন কি করবেন? …মাস্টারই মেরে নেবে’। আর টিভিতে যা দেখানো হয় তা ‘বানানো’ বলেও তিনি দাবি করেন। আর বিধায়ক অরুপ চক্রবর্ত্তী যখন প্রকাশ্যে রাজ্যের শিক্ষকদের ‘চোর’ বলছেন,
ঠিক তখন তাঁর পাশের চেয়ারে বসে আছেন একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক তথা সিমলাপাল ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফাল্গুনী সিংহবাবু। নিজের রাজনৈতিক সতীর্থের এই বক্তব্যে তিনিও যে বেশ অস্বস্তিতে সেই মুহূর্তে তা তাঁর বডি ল্যাঙ্গোয়েজেই বোঝা যায়।
তৃণমূল বিধায়কের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বাম সমর্থিত শিক্ষক সংগঠন নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক বিমান পাত্র। তিনি বিধায়ক অরুপ চক্রবর্ত্তীর বক্তব্যের তীব্র ধিক্কার জানিয়ে বলেন, যে যে ধরণের ভাবনায় বিশ্বাসী তারা সেই ধরণের কথাই বলেন।
‘যাদের চুরি মজ্জাগত তারা সবাইকেই চোর ভাবেন’ দাবি করে তিনি আরো বলেন, আমাদের রাজ্যের নেতা মন্ত্রীরা জানেননা মিড.ডে.মিলে কতো বরাদ্দ’! প্রাথমিক স্তরে বরাদ্দ মাথাপিছু ৫ টাকা ৪৫ পয়সা। অনেক সময় মিড.ডে মিল পরিচালনা করতে গিয়ে অনেক স্কুলে সন্তানসম ছাত্র ছাত্রীদের কথা ভেবে মাষ্টারমশায়দের পকেটের পয়সা খরচ করতে হয়। মানুষ জানেন কোথায় চুরি হচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন ।